রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদক, ঢাকা প্রকাশের সময় :২৯ আগস্ট, ২০২৪ ৭:২২ : অপরাহ্ণ
চট্টগ্রামে ইস্টার্ন রিফাইনারির মালিকানাধীন জমিতে এস আলম গ্রুপের সঙ্গে রিফাইনারি নির্মাণ প্রস্তাব বাতিল করেছে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়।
আজ বৃহস্পতিবার বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেড-২ প্রকল্পটি বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি)/ইআরএল ও এস আলম গ্রুপ যৌথ উদ্যোগে বাস্তবায়নের কথা ছিল।
গত বছরের অক্টোবরে এস আলম গ্রুপ চট্টগ্রামে ইস্টার্ন রিফাইনারির মালিকানাধীন জমিতে ৮০:২০ ইক্যুইটির ভিত্তিতে দ্বিতীয় তেল শোধনাগার নির্মাণের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এই প্রস্তাব পাঠিয়েছিলো।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয় বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, বিপিসির আওতাধীন ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেড (ইআরএল) কর্তৃক বাস্তবায়নের জন্য প্রস্তাবিত ‘ইন্সটলেশন অব ইআরএল ইউনিট-২’ শীর্ষক প্রকল্পটি বিপিসি/ইআরএল এবং এস আলম গ্রুপের মধ্যে সরকারি বেসরকারি যৌথ উদ্যোগে চুক্তির আওতায় বাস্তবায়ন প্রস্তাব বাতিলের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, একইসঙ্গে প্রকল্পটির ডিপিপি বৈদেশিক মুদ্রার হালনাগাদ রেট অনুযায়ী প্রাক্কলন এবং সমস্ত ক্রয় পরিকল্পনা পিপিআর-২০০৮ অনুযায়ী প্রণয়নপূর্বক পরিকল্পনা কমিশনে পুনর্গঠিত ডিপিপি প্রেরণ করার জন্য বিপিসিতে পত্র প্রেরণের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।
দেশের একমাত্র জ্বালানি তেল পরিশোধনাগার ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেড (ইআরএল)। ১৯৬৮ সালে চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় এটি তৈরি হয়। প্রতিষ্ঠানটি বছরে ১৫ লাখ টন জ্বালানি তেল পরিশোধন করতে পারে। এটি পরিচালনা করে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের অধীনে থাকা বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি)।
ইস্টার্ন রিফাইনারির নতুন প্রকল্পে ৩০ লাখ টন সক্ষমতার আরেকটি ইউনিট করার কথা। ‘ইনস্টলেশন অব ইআরএল-২’ নামের প্রকল্পটি নেওয়া হয় ২০১২ সালে। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে বছরে প্রায় ২৪ কোটি ডলার সাশ্রয় হওয়ার কথা। এ প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য বেসরকারি কোম্পানি এস আলম গ্রুপের সঙ্গে নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয় জ্বালানি বিভাগ।
আরও পড়ুন: ‘পৃথিবীতে এস আলমের মতো কেউ ব্যাংক ডাকাতি করেনি’