রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদক, ঢাকা প্রকাশের সময় :১৮ আগস্ট, ২০২৪ ২:০৬ : অপরাহ্ণ
২০১৩ সালের ৫ মে মতিঝিল শাপলা চত্বরে হেফাজত ইসলামের সমাবেশে নির্বিচারে গুলি চালিয়ে গণহত্যার অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৩৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
আজ রোববার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জাকী-আল-ফারাবীর আদালতে বাংলাদেশ পিপলস পার্টির (বিপিপি) চেয়ারম্যান বাবুল সরদার চাখারী এ মামলা করেন।
আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে মতিঝিল থানাকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার অপর আসামিরা হলেন-সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক সংসদ সদস্য রাশেদ খান মেনন, হাসানুল হক ইনু, মাহবুবুল আলম হানিফ, সাবেক পাট ও বস্ত্রমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবুল কালাম আজাদ, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সাবেক সামরিক উপদেষ্টা তারেক সিদ্দিকী, শেখ হাসিনার সাবেক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, ঢাকা দক্ষিণ সিটির মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস, সাবেক এনএসআইয়ের প্রধান জিয়াউল হাসান, পুলিশের সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ, হাসান মাহবুব খন্দকার, তৎকালীন র্যাবপ্রধান এ কে এম শহিদুল হক, এসবিপ্রধান মনিরুল ইসলাম, ডিসি বিপ্লব কুমার, মতিঝিল বিভাগের ডিসি মোহাম্মদ নাজমুল আলম, মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান, অফিসার ইনচার্জ ওমর ফারুক, ফরমান আলী বিশ্বাস, হামদাদ গ্রুপের অবসরপ্রাপ্ত ডিরেক্টর মেজর ইকবাল, তৎকালীন ওয়ার্ড কমিশনার মনসুর আহমেদ, ইমরান, মতিঝিল থানার ছাত্রলীগের তৎকালীন সভাপতি মাহবুবুল হক হিরণ, মোহাম্মদ সাঈদ কমিশনার, আওয়ামী লীগ নেতা আকরাম হোসেন, সাবেক কাউন্সিলর ফারজানা আক্তার ডলি, মমতাজ পারভীন, আনিসুর রহমান সরকার, আলমগীর হোসেন, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান শেখ সালাউদ্দিন সালু, মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন, মোহাম্মদ এমদাদুল হক ও শেখ শাহে আলম তালুকদার।
মামলায় অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১৩ সালের ৫ মে মতিঝিলের শাপলা চত্বরে ১৩ দফা দাবি আদায়ে সমাবেশ করে হেফাজতে ইসলাম। আসামিরা যোগসাজশে ৫ মে রাত ১১টা থেকে ৬ মে ভোর রাত ৪টা পর্যন্ত রাস্তা ও বিদ্যুৎ লাইন বন্ধ করে শেখ হাসিনার মদদে পুলিশ ও আর্মি সদস্যরাসহ মিলে নিরহ মাদ্রাসার ছাত্র ও পথচারী লোকদের ওপর গণহত্যা চালায়।
হত্যার পর সরকারি সিটি করপোরেশনের গাড়ি এনে লাশগুলো অজ্ঞাত স্থানে গুম করে ফেলে। ওই অভিযানে রাজনীতিকসহ নিরীহ প্রায় ৩০০০-৩৫০০ জন মানুষকে নির্বিচার গণহত্যার অভিযোগ করেন বাদী।
এ নিয়ে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন স্থানে ১১টি মামলা হয়েছে, যার মধ্যে ৮টি হত্যা, একটি অপহরণ এবং দুটি মানবতাবিরোধী অপরাধ ও গণহত্যার অভিযোগ রয়েছে।
আরও পড়ুন: গুম-খুনের ‘মাস্টারমাইন্ড’ কে এই জিয়াউল আহসান