রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদক, ঢাকা প্রকাশের সময় :১৬ আগস্ট, ২০২৪ ১:২৯ : অপরাহ্ণ
সেনাবাহিনী থেকে অব্যাহতি পাওয়া আলোচিত মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসানকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গতকাল বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ঢাকার খিলক্ষেত এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
রাজধানীর নিউমার্কেট থানায় দায়ের হওয়া একটি হত্যা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ঢাকা মেট্টোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) রমনা বিভাগের এক কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, জিয়াউল আহসান বর্তমানে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) হেফাজতে রয়েছেন।
র্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (গোয়েন্দা) থাকা অবস্থায় জিয়াউল আহসান বহুল পরিচিত ছিলেন। ওই সময় কর্নেল পদমর্যাদার কর্মকর্তা ছিলেন তিনি। এ ছাড়া চাকরিচ্যুতের আগ পর্যন্ত সেনাবাহিনীর এই কর্মকর্তা ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। তখন তার বিরুদ্ধে ফোনে আড়িপাতার অভিযোগ উঠে। এ নিয়ে নানা মহলে তার বিরুদ্ধে সমালোচনা হয়।
এর আগে তিনি ২০০৯ সালের র্যাব-২ এর সহঅধিনায়ক হন। একই বছর তিনি লেফটেন্যান্ট কর্নেল পদে পদোন্নতি পান এবং র্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখার পরিচালক নিযুক্ত হন। সে সময় থেকেই তার বিরুদ্ধে মানুষকে গুম করার অভিযোগ উঠে।
গত ১৩ আগস্ট সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল আহসানকে গ্রেপ্তারের দাবি জানায় গুম হওয়ার ব্যক্তিদের স্বজনদের সংগঠন ‘মায়ের ডাক’। একই সঙ্গে সংগঠনটি জিয়াউল আহসানসহ দায়ীদের বিরুদ্ধে মামলা করবে বলেও জানিয়েছিল।
গত ৬ আগস্ট এক বিজ্ঞপ্তিতে মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসানকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয় বলে জানিয়েছিল আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)। আর সেদিনই তিনি এমিরেটস এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে করে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু নিরাপত্তা বাহিনীর কর্মকর্তারা তাকে আটকে দেয়।
উল্লেখ্য, জিয়াউল আহসানের বিরুদ্ধে ফোনে আড়িপাতা এবং গুপ্তহত্যায় শেখ হাসিনাকে সহযোগিতা দেওয়ার সরাসরি অভিযোগ তুলেছিলেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী ও বিরোধী নেতারা। ছাত্রজনতার অভ্যুত্থান ঠেকাতে ডিজিটাল ক্র্যাকডাউনের হোতা ছিলেন তিনি। ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারে দায়িত্ব পালনকালে তিনি এমন ভূমিকা পালন করেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
আরও পড়ুন: সেনাবাহিনীতে বড় রদবদল, চাকরিচ্যুত হলেন জিয়াউল আহসান