রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদক, ঢাকা প্রকাশের সময় :২৭ জুলাই, ২০২৪ ১০:১৫ : অপরাহ্ণ
এবার তিন দাবি পূরণে সরকারকে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছে কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্ল্যাটফর্ম-বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
তিন দাবি হলো-বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তিন সমন্বয়ক সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ ও আবু বাকের মজুমদার এবং ডাকসুর সাবেক সমাজসেবা সম্পাদক আখতার হোসেনসহ গ্রেপ্তার ও গুম হওয়াদের মুক্তি, শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে করা মামলা তুলে নেওয়া এবং মন্ত্রী থেকে শুরু করে কনস্টেবল পর্যন্ত যারা সহিংসতার জন্য দায়ী তাদের বিরুদ্ধে দৃশ্যমান পদক্ষেপ নেওয়া।
আজ শনিবার রাত ৮টার দিকে ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এ তিন দাবি মেনে নিতে সরকারকে ২৪ ঘণ্টার সময় বেঁধে দেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসউদ। এ সময় আরেক সমন্বয়ক মাহিন সরকার ও সহসমন্বয়ক রশিদুল ইসলাম রিফাত উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনের প্রথমে নেতারা বিভিন্ন জাতীয় পত্রিকায় প্রকাশিত বিভিন্ন সংবাদ তুলে ধরে নিহত ও আহতদের বর্ণনা দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রীর ‘র্যাব হেলিকাপ্টার দিয়ে পানি দিয়ে আগুন নিভিয়েছে’ বক্তব্যও প্রত্যাখ্যান করেন। তারা প্রশ্ন রেখে বলেন, রাজপথে ছাত্রলীগের যেসব নেতাকর্মী শিক্ষার্থীদের ওপর আক্রমণ করেছে তাদের কি গ্রেপ্তার করা হয়েছে?
সমন্বয়ক মাহিন সরকার বলেন, ১১-১২ দিন আমরা শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করেছি। কিন্তু চীন সফর থেকে এসে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া একটি বক্তব্যকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীরা প্রতিক্রিয়া জানান। এখন সরকারের পক্ষ থেকে ছাত্রদের দাবি মেনে নেওয়া হয়েছে বলা হলেও তা সত্য না। সহিংসতা ও মৃত্যুর ঘটনায় সরকারের পক্ষ থেকে দুঃখপ্রকাশও করা হয়নি। বরং শিক্ষার্থীদের রাজনৈতিক ট্যাগ দিয়ে অপরাজনীতি করা হচ্ছে। এ দায় সরকারেরই নিতে হবে।
সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসউদ বলেন, আগামীকাল রোববার জেলা, উপজেলাসহ সব পর্যায়ে হেলথ ফোর্স এবং লিগ্যাল ফোর্স গঠন করা হবে। তারা সারাদেশে আহত ও নিহতদের তথ্য সংগ্রহ করবেন। এছাড়া সারাদেশে গ্রাফিতি ও দেয়াল লিখন করা হবে।
সংবাদ সম্মেলন থেকে জানানো হয়, ঢাকসুর সাবেক সমাজসেবা সম্পাদক আখতার হোসেনকে আজ পর্যন্ত পরিবারের সঙ্গে দেখা করার সুযোগ দেওয়া হয়নি। এছাড়া নাহিদ ইসলামসহ সমন্বয়কদের সঙ্গে হাসপাতালে দেখা করতে গেলেও পাঁচ মিনিটের বেশি দেখা করতে দেওয়া হয়নি।
আরও পড়ুন: কোটা সংস্কার আন্দোলনের আরও ২ সমন্বয়ককে তুলে নিয়েছে ডিবি