রাজনীতি সংবাদ ডেস্ক প্রকাশের সময় :২৫ জুলাই, ২০২৪ ১০:০৫ : পূর্বাহ্ণ
সংযুক্ত আরব আমিরাতে (ইউএই) বিক্ষোভ করার দায়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডসহ ৫৭ বাংলাদেশিকে দীর্ঘ মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছে দেশটির আদালত।
তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা বাংলাদেশ সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে আরব আমিরাতের বিভিন্ন রাস্তায় বিক্ষোভের ডাক দিয়েছিলেন।
৫৭ জনের মধ্যে তিনজনকে যাবজ্জীবন দেওয়া হয়েছে। বাকিদের মধ্যে ৫৩ জনকে ১০ বছরের জেল আর একজনকে অবৈধভাবে আরব আমিরাতে থাকায় এক বছর অতিরিক্ত কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ, তাকে কারাগারে থাকতে হবে ১১ বছর।
আরব আমিরাতের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা ডাব্লিউএএম জানিয়েছে, কারাদণ্ড শেষে সবাইকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর আদেশও দিয়েছেন আবু ধাবির আদালত।
আরব আমিরাতের অ্যাটর্নি জেনারেল ড. হামাদ সাইফ আল শামসি বিভিন্ন শহরের রাস্তায় বিক্ষোভ করা বাংলাদেশিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্তের নির্দেশ দেন। ৩০ জন তদন্তকারীর একটি দল এই ঘটনা তদন্ত করার পর আটক বাংলাদেশিদের বিচার শুরু হয়।
একজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, অভিযুক্তরা কোটা ইস্যুতে বাংলাদেশ সরকারের বিরুদ্ধে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বেশ কয়েকটি রাস্তায় বড় ধরনের বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করা হয়।
সংযুক্ত আরব আমিরাতে অননুমোদিত বিক্ষোভ নিষিদ্ধ। দেশটির দণ্ডবিধিতে বিদেশি রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে আপত্তিকর বক্তব্য বা তাদের সঙ্গে সম্পর্ক বিপন্ন করাকেও অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়। বাংলাদেশে আন্দোলনের প্রতি সংহতি জানিয়ে গত ১৯ জুলাই সংযুক্ত আরব আমিরাতে প্রবাসী বাংলাদেশিরা বিক্ষোভ করেন।
খবরে বলা হয়েছে, বিক্ষোভের পরদিন শনিবার (২০ জুলাই) আবুধাবিতে বাংলাদেশ দূতাবাস ও দুবাইয়ে অবস্থিত বাংলাদেশের কনস্যুলেট জেনারেল বিবৃতি দিয়ে প্রবাসীদের এ ধরনের কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান। বলা হয়, আমিরাতে বসবাসকারী সব প্রবাসী বাংলাদেশিকে স্থানীয় আইন ও বিধিবিধান মেনে চলতে অনুরোধ করা হচ্ছে। সবার জেনে রাখা ভালো, এই দেশের আইন অনুযায়ী যথাযথ কর্তৃপক্ষগুলোর পূর্ব অনুমতি ছাড়া কোনো ধরনের সভা-সমাবেশ করা বা স্লোগান দেয়া নিষিদ্ধ। জনগণের মধ্যে অস্থিরতা, আতঙ্ক বা বিভ্রান্তি সৃষ্টি করতে পারে, এমন কোনো কাজ করা, গুজব বা অপপ্রচার চালানো কিংবা এ ধরনের কোনো বক্তব্য, ছবি বা ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করা এ দেশে সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।