রাজনীতি সংবাদ ডেস্ক প্রকাশের সময় :৩০ মার্চ, ২০২৪ ২:১৭ : অপরাহ্ণ
নামাজের আগে অনেকে প্রস্রাব-পায়খানা ও বায়ুর চাপ ধরে রাখেন। এ অবস্থায় অনেকেই নামাজে দাঁড়িয়ে যান। কিন্তু প্রস্রাব-পায়খানা ও বায়ু চেপে রেখে নামাজ পড়লে হবে কি না? এ সম্পর্কে ইসলাম কী বলে?
রাসুলুল্লাহ (সা.) প্রস্রাব-পায়খানা ও বায়ুর চাপ নিয়ে নামাজ আদায় করতে নিষেধ করেছেন।
হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আরকাম (রা.) বর্ণনা করেছেন, ‘‘আমি রাসুলুল্লাহকে (সা.) বলতে শুনেছি-‘যখন নামাজে দাঁড়িয়ে যায় আর তোমাদের কারও প্রস্রাব-পায়খানার প্রয়োজন দেখা দেয় সে যেন প্রথমে প্রয়োজন সেরে নেয়।’’-(তিরমিজি, হাদিস নম্বর-১৪২)।
হজরত সাওবান (রা.) বর্ণনা করেছেন, ‘‘রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘কেউ যেন প্রস্রাব-পায়খানার চাপ নিয়ে নামাজ না পড়ে।’’-(তিরমিজি, হাদিস নম্বর-৩৫৭; সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নম্বর-৯১)।
ইমাম হজরত নাফে (রহ.) কে জিজ্ঞাসা করা হলো যে, এক ব্যক্তি পেটে বায়ুর চাপ বোধ করে। তিনি বললেন, ‘বায়ুর চাপ বোধ করা অবস্থায় সে যেন নামাজ না পড়ে।’-(মুসান্নাফে ইবনে আবি শাইবা, হাদিস নম্বর-৮০২২)।
এসব হাদিসের ওপর ভিত্তি করে ইসলামী স্কলাররা বলেছেন, প্রস্রাব-পায়খানা এবং বায়ুর চাপ নিয়ে নামাজ পড়া মাকরূহে তাহরিমি (হারাম বিধানের মতোই পরিত্যাজ্য)। আর স্বাভাবিক অবস্থায় নামাজ শুরু করার পর নামাজের ভেতরে এমন চাপ সৃষ্টি হলে নামাজের পর্যাপ্ত ওয়াক্ত বাকি থাকা সত্ত্বেও এ অবস্থায় নামাজ চালিয়ে যাওয়া মাকরুহ (যে কাজ না করাটাই উত্তম)। এ ধরনের ক্ষেত্রে নামাজ ছেড়ে দিয়ে অজু-ইস্তিঞ্জা সেরে পূর্ণ চাপমুক্ত হয়ে নামাজ আদায় করা কর্তব্য। কেননা এতে নামাজের একাগ্রতা বিঘ্নিত হয়। এক ধ্যানে নামাজ আদায় করা যায় না। প্রাকৃতিক এসব চাপ থেকে মুক্ত হয়ে পূর্ণ স্থিরতা ও একাগ্রতার সঙ্গে নামাজ আদায় করা কর্তব্য।
তবে হ্যাঁ, নামাজের ওয়াক্ত যদি এত স্বল্প থাকে যে, প্রয়োজন সারতে গেলে নামাজের ওয়াক্ত থাকবে না বা নামাজ কাজা হয়ে যাবে তাহলে সম্ভব হলে এ অবস্থায়ই নামাজ পড়ে নিবে। অবশ্য পর্যাপ্ত ওয়াক্ত থাকার পরও কোনো ইমাম বা একাকি নামাজ আদায়কারী যদি এ অবস্থায় নামাজ পড়ে নেয় তবে এমনটি করা মাকরুহ হলেও তাদের নামাজ আদায় হয়ে যাবে।-(রদ্দুল মুহতার ১/৩৪১-৬৪৪)।
আরও পড়ুন: জোহর ও আসরের ফরজ নামাজে কিরাত চুপেচুপে পড়ার কারণ কী?