রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় :২৮ মার্চ, ২০২৪ ৩:০৭ : অপরাহ্ণ
সারা দেশে ভয়ের পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘পুরো দেশের মানুষ ভয়ে আতঙ্কে থাকে। কখন কাকে ধরে নিয়ে যায় কোনো নিশ্চয়তা নেই। দমন-নির্যাতন আওয়ামী লীগের হাতিয়ার। এটা না করলে ক্ষমতায় থাকতে পারবে না। বিএনপির ৮০ ভাগ নেতাকর্মী দমন ও নিপীড়নের শিকার হয়েছে।’
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে ঈদ উপহার বিতরণী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
‘আমরা বিএনপি পরিবার’ নামে একটি সংগঠন এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘একটা কথা কবে বলেছে, সেটার জন্য ১০ বছর পরেও মামলা হয়। মোবাইল এখন ব্যবহার করেন সবাই, ফেসবুকে মনের কথা লিখলে; যদি তাদের (সরকার) বিরুদ্ধে লিখে, সে যেখানে থাকুক, তাকে তুলে নিয়ে আসে।’
কারাবাসের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘একটি ছেলের সিরাজগঞ্জে বাড়ি, ফেসবুকের একটি পোস্টে লাইক দেওয়ার কারণে র্যাব তাকে তুলে নিয়ে এসে প্রায় ১৪ দিন নির্যাতন করে আরেকটি মিথ্যা মামলায় জেলে পাঠিয়েছে। সে এখনো জামিন পাচ্ছে না। এটা আমাদের একটা নিয়মিত ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে।’
বিএনপি নেতাকর্মীদের পরিবারের সদস্যদের রেহাই দেওয়া হয়নি মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমাদের ছত্রদল-যুবদলের ছেলেদের শারীরিকভাবে নির্মম নির্যাতন করা হয়েছে। কারও পায়ের নখ তুলে নেওয়া হয়েছে, কারও পা মুচড়ে ভেঙে ফেলা হয়েছে, কারও হাত ভেঙে দিয়েছে এবং অবিশ্বাস্যভাবে সত্য যে, তারা কোনো চিকিৎসা পায়নি। এটা ভয়াবহ, একটি জাতি নিশ্চিহ্ন হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘এই ফ্যাসিবাদী সরকার বিভিন্ন কৌশলে, বিভিন্ন পদ্ধতিতে নির্বাচন ব্যবস্থাটাকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে। একটি মিথ্যা-জালিয়াতির নির্বাচন করে, সেই নির্বাচন করে আবার সে ক্ষমতায় চলে আসে। আমরা বিএনপি এবং যারা গণতন্ত্রমনা দল আছি, তারা প্রথম থেকেই চেষ্টা করছি, আমরা সংগ্রাম করছি, লড়াই করছি। হাজার হাজার মানুষ রাজপথে আসছে, রাজপথে আমাদের ছেলেরা প্রাণ দিয়েছে।’
এই অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে হবে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘মুক্তি পাওয়ার জন্য আমরা সংগ্রাম করছি। একটি গণতান্ত্রিক দলের পক্ষে যতটুকু সম্ভব নয় তার চেয়েও বেশি আমরা সংগ্রাম করছি, লড়াই করছি।’
উপস্থিত বিএনপি নেতাকর্মীদের সন্তানদের উদ্দেশে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘কখনো আশা হারাবে না। কখনো মনে করবে না যে সব কিছু শেষ হয়ে গেল। সব সময় মনে রাখতে হবে যে, এই গণতান্ত্রিক আন্দোলন, ভোটের আন্দোলন, নিজের খাওয়া-পরার আন্দোলন, এটি ন্যায়সঙ্গত আন্দোলন এবং সেই আন্দোলনে আমরা বিজয়ী হবো।’