শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪ | ৮ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২০ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬

মূলপাতা আওয়ামী লীগ

২৫ মার্চ জিয়াউর রহমানও বাঙালির ওপর আক্রমণ চালিয়েছিলেন: শেখ হাসিনা


আজ দুপুরে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে এক আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: সংগৃহীত

রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় :২৭ মার্চ, ২০২৪ ৪:১৯ : অপরাহ্ণ

স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাস কথা বলতে গিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘পাকিস্তান হানাদার বাহিনী ২৫ মার্চ যে আক্রমণটা বাঙালির ওপর চালায়, সেই আক্রমণকারী একজন কিন্তু জিয়াউর রহমানও। সেটা হলো চট্টগ্রামে। এটাও ভুললে চলবে না।’

মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে আজ বুধবার দুপুরে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

আওয়ামী লীগ এই সভার আয়োজন করে।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আজ স্বাধীনতার ৫৩ বছর আমরা পার করেছি। এই ৫৩ বছরের মধ্যে ২৯টা বছরই এ জাতির জন্য ছিল দুর্ভাগ্যের বছর।’

যুদ্ধ পরবর্তী পরিস্থিতি তুলে ধরে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘আজকে যেমন আপনারা দেখতে পাচ্ছেন, কেউ বলছে গণতন্ত্রই নাকি নাই। কেউ বলছে বাংলাদেশের মানুষের নাকি কিছুই হয়নি, কোনো উন্নতিই হয়নি। যারা এসব কথা বলে যাচ্ছে, এ ধরনের কিছু কর্মকাণ্ড স্বাধীনতার পরপর আমরা দেখেছি।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘গতকালকে শুনছিলাম বিএনপির এক নেতা বললেন যে, ২৫ মার্চ নাকি আওয়ামী লীগের সব নেতারা পালিয়ে গিয়েছিল। তাহলে যুদ্ধটা করল কে? বিজয় কে আনলো? মুজিবনগর সরকার গঠন করে শপথ নিয়ে তারা যুদ্ধ পরিচালনা করলো। সরকারপ্রধান ছিল শেখ মুজিবুর রহমান। তার গ্রেপ্তারের পর উপ-রাষ্ট্রপতির নেতৃত্বে সেই সরকারের অধীনে এদেশে যুদ্ধ হলো। যারা বলছে, পালিয়ে গেলো-তাহলে যুদ্ধটা করলো কে?’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে যুদ্ধ পরিচালনা করলো, সশস্ত্র বাহিনীর গড়ে তোলা হলো। বিভিন্ন সেক্টরে বাংলাদেশকে ভাগ করা হলো। একেকটা সেক্টরের দায়িত্ব দেওয়া হলো। সেক্টরের যিনি দায়িত্ব ছিলেন, তিনি আহত হওয়ার পর জিয়াউর রহমান দায়িত্ব পায়, জিয়াউর রহমান একটা বেতনভুক্ত কর্মচারী হিসেবে কাজ করেছে। আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে বেতনভুক্ত কর্মচারী ছিল জিয়াউর রহমান। এ কথা নিশ্চয়ই তাদের ভুলে গেলে চলবে না। এটাও ভুললে চলবে না যে, স্বাধীনতার পর তিনি ছিলেন একজন মেজর।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘স্বাধীনতার পর জিয়াউর রহমান মেজর থেকে মেজর জেনারেল হলো, এই প্রমোশনগুলা একে একে কে দিয়েছে? এটাও তো আওয়ামী লীগ সরকার দিয়েছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব দিয়েছে। এই অকৃতজ্ঞরা সেটাও ভুলে যায়।’

বিএনপি নেতাদের ভারতীয় পণ্য বর্জন প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপির এক নেতা চাদর খুলে বলে দিয়েছেন, ভারতের পণ্য ব্যবহার করবেন না। যে নেতারা বলছেন, ভারতীয় পণ্য বর্জন করেন। তাদের বউদের কয়খানা ভারতীয় শাড়ি আছে? তারা বউদের কাছ থেকে শাড়িগুলো এনে কেনো পুড়িয়ে দিচ্ছেন না? তাদের কারও পাকের ঘরে যেন ভারতীয় মসলা না দেখা যায়। এটা তারা করতে পারবে কিনা?’

বিএনপি নেতাদের উদ্দেশে সরকারপ্রধান বলেন, ‘তাদের বউরা যেন ভারতীয় শাড়ি না পরেন। যেদিন ওগুলো এনে অফিসের সামনে পোড়াবেন, সেদিন বিশ্বাস করবো, আপনারা ভারতীয় পণ্য বর্জন করলেন। আপনারা রংঢং করতে ওস্তাদ। সত্যিকার অর্থে বর্জন করছেন কিনা-এটা জানতে চাই।’

মন্তব্য করুন
Rajniti Sangbad


আরও খবর