শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪ | ৮ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২০ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬

মূলপাতা ধর্ম

সাহরি না খেলে কি রোজা হবে?



রাজনীতি সংবাদ ডেস্ক প্রকাশের সময় :১৮ মার্চ, ২০২৪ ৭:০৫ : অপরাহ্ণ

রমজান মাসে রোজা রাখা ফরজ। সাহরি খেয়ে রোজা রাখেন মুসলমানেরা। সাধারণত সাহরি খাওয়া হয় রাতের একেবারে শেষ অংশে, সুবহে সাদিকের আগমুর্হুতে। রোজা রাখার উদ্দেশ্যে সুবহে সাদিকের আগে যে খাবার গ্রহণ করা হয় তাকে সাহরি বলা হয়।

দেখা যায়, রমজান মাসে কেউ ঘুম থেকে উঠতে না পারার কারণে অথবা অন্য কোনো কারণে সাহরি খেতে পারেন না। এ অবস্থায় অনেকে রোজা রাখলেও তা আদায় হবে কি হবে না এ নিয়ে শঙ্কায় থাকে।

কেউ যদি সাহরি না খেয়ে রোজা রাখে, তাহলে কি তার রোজা আদায় হবে?

কেউ যদি ঘুম থেকে উঠতে না পারার কারণে অথবা অন্য কোনো কারণে সাহরি খেতে না পারে তাহলে রোজা হয়ে যাবে। কেউ যদি ঘুম থেকে উঠে দেখে আজান হয়ে গেছে, তখন শুধু নিয়ত করলেই রোজা হয়ে যাবে।

রোজা সহীহ হওয়ার জন্য সাহরি খাওয়া আবশ্যক নয়, তবে সুন্নত আদায় হবে না। কারণ রোজা রাখার নিয়তে সাহরি খাওয়া সুন্নত। সাহরি অত্যন্ত বরকতময় খাবার।

সাহরি খাওয়ার অনেক ফজিলত হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে। হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা সাহরি খাও, কেননা সাহরি খাওয়ার মধ্যে বরকত রয়েছে’ (সহীহ বুখারি, হাদিস নম্বর-১৯২৩)।

অন্য হাদিসে বলা হয়েছে, ‘তোমরা সাহরি খাও, যদিও এক ঢোক পানি দ্বারা হয়। কারণ যারা সাহরি খায়, আল্লাহ তায়ালা তাদের ওপর রহমত বর্ষণ করেন এবং ফেরেশতারা তাদের জন্য রহমতের দোয়া করেন।’ (ইবনে হিব্বান, হাদিস নম্বর-৩৪৭৬)।

সাহরি সম্পর্কে রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘আহলে কিতাব তথা ইহুদি-খ্রিস্টান আর মুসলমানদের রোজার মধ্যে শুধু সাহরি খাওয়াই পার্থক্য। অর্থাৎ তারা সাহরি খায় না আর আমরা সাহরি খাই।’-(সহীহ মুসলিম, হাদিস নম্বর-১৮৪৩; সহীহ তিরমিজি, হাদিস নম্বর-৬৪২)।

আরও পড়ুন: আজান চলাকালে সাহরি খাওয়া যাবে কি?

মন্তব্য করুন
Rajniti Sangbad


আরও খবর