রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় :২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ৪:০২ : অপরাহ্ণ
পুলিশি বাধায় পণ্ড হয় গেছে ১২ দলীয় জোটের পূর্বনির্ধারিত ভারতবিরোধী সমাবেশ। আজ শনিবার বেলা ১১ টার দিকে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে থেকে পুলিশি বাধা উপেক্ষা করে হ্যাশট্যাগ ইন্ডিয়া আউট ইন্ডিয়া বয়কট মিছিল বের করে ১২ দলীয় জোট।
মিছিল শেষে রাজধানীর তোপখানা রোডে বিএমএ ভবনের সামনে তারা বিক্ষোভ সমাবেশ করার চেষ্টা করে। এ সময় পুলিশ তাদের বাধা দেয়। পরে পুলিশের মারমুখী আচরণে সমাবেশটি পণ্ড হয়ে যায়।
এর আগে বেলা ১১টার দিকে ১২ দলীয় জোটের নেতাকর্মীরা সমাবেশের জন্য জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনের ফুটপাতে জড়ো হতে থাকেন। এ সময় তারা স্লোগানও দিতে থাকেন। এক পর্যায়ে পুলিশ এসে তাদের ব্যানার ছিনিয়ে নেয় এবং জোট নেতাদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। পরে নেতারা পুলিশি বাধায় সমাবেশ না করে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করেন।
বিক্ষোভ মিছিল পরবর্তী সংক্ষিপ্ত সমাবেশে জোটের মুখপাত্র ও বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম ভারতীয় আগ্রাসন ও বাংলাদেশের রাজনীতিতে ভারতের নগ্ন হস্তক্ষেপের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। সেলিম জনগণকে ভারতীয় পণ্য বয়কটের আহ্বান জানান। তিনি বলেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা রাজপথে থাকবো।
দলীয় জোটের সমন্বয়ক বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সৈয়দ এহেসানুল হুদা বলেন, বয়কট ইন্ডিয়া আন্দোলন চলমান আছে এবং এই আন্দোলন চলবে। পৃথিবীর যেকোনো রাষ্ট্রে আমরা দেখেছি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে দেশ প্রেমিক জনগণ প্রতিবাদে সোচ্চার থাকে কিন্তু আমাদের দেশে দিল্লির তাবেদার সরকার মানুষের কথা বলার অধিকার কেড়ে নিয়েছে। হুদা দেশের আপামর জনগণকে ভারতীয় পণ্য বর্জনের আহবান জানান।
জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সিনিয়র সহসভাপতি রাশেদ প্রধান বলেন, ১২ দলীয় জোটের আন্দোলন চলছে। সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।
বিক্ষোভ মিছিলে আরো উপস্থিত ছিলেন লেবার পার্টির চেয়ারম্যান লায়ন ফারুক রহমান, ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসচিব মাওলানা আব্দুল করিম, মাওলানা শওকত আমিন, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির একাংশের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান শামসুদ্দিন পারভেজ, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি জাকির হোসেন।