কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের দায়ের করা শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় ছয় মাসের কারাদণ্ড পাওয়া ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ৩০ দিনের মধ্যে আপিল করার শর্তে জামিন দিয়েছেন আদালত।
আজ সোমবার সাজা ঘোষণার পর বিচারক বেগম শেখ মেরিনা সুলতানার আদালতে এ জামিন আবেদন করা হয়। পরে আদালত জামিন মঞ্জুর করেন।
এদিকে শ্রম আইন লঙ্ঘন মামলায় কারাদণ্ড দেওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে শান্তিতে নোবেল বিজয়ী প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, ‘যে দোষ করিনি, সেই দোষের শাস্তি পেলাম। এটাকে ন্যায়বিচার যদি বলতে চান, তাহলে বলতে পারেন।’
আজ বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে আদালত থেকে বের হয়ে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
ড. ইউনূস বলেন, ‘২০২৪ সালের প্রথম দিন আজকে। আমরা আজকে আদালতে এসেছিলাম রায় শোনার জন্য। এসে মনটা ভরে গেল, আমার বহু বন্ধু-বান্ধব এখানে পেয়ে গেলাম, যাদের সঙ্গে আমার বহুদিন দেখা হয়নি।’
নোবেল জয়ী এই অর্থনীতিবিদ বলেন, ‘এরা আজকে এসেছে, এই আনন্দের দিনে যে কী রায় হয় দেখার জন্য। আমার কী অবস্থা দাঁড়াবে। আমি কিন্তু খুবই খুশি তাদের দেখে। মনটা ভরে গেল। বহুদিন পরে যারা বিভিন্ন দেশ থেকে এসেছে, ছুটিতে এসেছে। এক জায়গায় একত্র হওয়ার সুযোগ পেলাম আমরা।’
মামলার রায়ের বিষয়ে মন্তব্য জানতে চাইলে ড. ইউনূস বলেন, ‘ব্যারিষ্টার মামুন সাহেব (ড. ইউনূসের আইনজীবী আবদুল্লাহ-আল-মামুন) ব্যাখ্যা করবেন। তবে আমাদের মনে দুঃখটা রয়ে গেল আজকে। এই আনন্দের দিনে এই আঘাতটা পেলাম।’
এর আগে আজ বিকেল ৩টার দিকে শ্রম আইন লঙ্ঘন মামলায় ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও গ্রামীণ টেলিকমের তিন শীর্ষ কর্মকর্তাকে ৬ মাস করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
আরও পড়ুন: ড. ইউনূসের ৬ মাসের কারাদণ্ড