আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রতিযোগিতা বিবেচনায়ও এটা কোনো নির্বাচন না বলে মন্তব্য করেছেন সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার।
তিনি বলেন, ‘যে নির্বাচনটা হতে যাচ্ছে, এটা কোনো নির্বাচনই না। নির্বাচনের যে সংজ্ঞা তার মধ্যেই এটা পড়ে না। নির্বাচনের যে গ্রামার, বিকল্প থেকে বেছে নেওয়ার সুযোগ, সেটাও নেই।’
আজ রোববার সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের আইডিবি ভবনে এক সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সহযোগিতায় দি হাঙ্গার প্রজেক্ট-এর পক্ষ থেকে ভোটবিডি ওয়েবসাইট সম্পর্কিত এ অবহিতকরণ সভা আয়োজন করা হয়।
সভায় ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘নির্বাচন হতে হলে, গণতন্ত্র হতে হলে শক্তিশালী বিরোধী দল থাকবে। গণতন্ত্র মানে বহুদলীয় গণতন্ত্র। এটাকে আমি বলি ভোটাভুটির খেলা।’
সুজন সম্পাদক বলেন, ‘আমি মনে করি, আমরা এখন ভয়াবহ সাংবিধানিক সংকটের মধ্যে আছি। যে পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনা হয়েছে তা অসাংবিধানিক। তাই বর্তমান সরকারের সাংবিধানিক বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন আছে।’
নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে প্রশ্ন তুলে বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের বিষয়ে যে আইন তাতে বলা আছে, রাজনৈতিক দল ও পেশাজীবী সংগঠন নাম প্রস্তাব করবে। কিন্তু যখন অনুসন্ধান কমিটি গঠন করা হয়েছিল তখন সেটি উন্মুক্ত করে দিয়েছিল। সুতরাং আইনের ব্যত্যয় ঘটিয়ে এই নির্বাচন কমিশন গঠিত হয়েছে। তাই নির্বাচন কমিশনের আইনগত বৈধতা যদি প্রশ্নবিদ্ধ হয় তাহলে তো তার সব কার্যক্রম, তফসিল ঘোষণা এবং নির্বাচন আইনগতভাবে প্রশ্নবিদ্ধ হতে বাধ্য।’
সুজন সম্পাদক বলেন, ‘বিএনপি না থাকলে এটা নিশ্চিত করে বলা যায় যে, আওয়ামী লীগ চাইলে সকল আসনে জিততে পারে। তারা আসন ভাগাভাগি করছে অন্যকে কিছু সিট দেওয়ার জন্য। নিজেদের অনুগত দলগুলোকে তারা কিছু সিট দিতে চায়। একমাত্র বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সঙ্গেও তারা সিট ভাগাভাগি করেছে। জাতীয় পার্টির মহাসচিব তার পোস্টারে লিখেছে জাতীয় পার্টি মনোনীত আর আওয়ামী লীগ সমর্থিত। এভাবে নির্বাচন করলে লেজিটিমেসি দূরীভূত হবে না।’