‘ডামি নির্বাচন’ বর্জন ও অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দিয়েছে বিএনপি। এখন থেকে সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত এই আন্দোলন চলবে বলে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
আজ বুধবার দুপুরে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে দলের সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এ ঘোষণা দেন।
দলটির সর্বোচ্চ পর্যায়ের নেতার নির্দেশে এখন থেকে পতন না হওয়া পর্যন্ত সরকারকে সব দিক থেকে অসহযোগিতা করার জন্য দেশবাসীকে আহ্বান জানান তিনি।
অসহযোগ আন্দোলন শুরুর ঘোষণায় দেশবাসীর উদ্দেশে রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘আগামী ৭ জানুয়ারির ডামি নির্বাচন বর্জন করুন। ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে ভোটগ্রহণে নিযুক্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ দায়িত্ব পালনে বিরত থাকুন। বর্তমান অবৈধ সরকারকে কোনো ধরনের ট্যাক্স, খাজনা, ইউটিলিটি বিল এবং অন্যান্য প্রদেয় স্থগিত রাখুন। ব্যাংকে টাকা জমা রাখা নিরাপদ কি না, সেটি ভাবুন। মিথ্যা ও গায়েবি মামলায় অভিযুক্ত লাখ লাখ রাজনৈতিক নেতা-কর্মী/আপনারা আজ থেকে আদালতে মামলায় হাজিরা দেওয়া থেকে বিরত থাকুন।
এই বিএনপি নেতা বলেন, ‘জনগণের আন্দোলনের ফলে দেশে সত্যিকারের গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা হলে এসব অসহযোগিতায় ক্ষতিগ্রস্তরা যথাযথ ক্ষতিপূরণ এবং সুবিচার পাবেন। স্বৈরাচার ও ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে গিয়ে আমাদের অনেক সাথী জীবন দিয়েছেন, গুম হয়েছেন, বন্দি ও আহত হয়েছেন। কিন্তু গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার লড়াই চলছে ও চলবে। জনগণের গণতান্ত্রিক আন্দোলন ও লড়াইয়ের বিজয় অবশ্যম্ভাবী ও অনিবার্য।’
রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার ন্যায্য দাবির প্রতি অটল থেকে এই আসন ভাগাভাগির তামাশাপূর্ণ ডামি নির্বাচন বর্জন করার আহ্বান জানাচ্ছি। জনগণের অংশগ্রহণ ছাড়া এই নির্বাচন সফল হবে না। শুধু নিজেদের অনুপস্থিতি দিয়ে গণতন্ত্রকামী জনগণ নির্বাচনের নামে এই নোংরা খেলা ব্যর্থ করে দেবেন। ফলে শিগগিরই জনগণের অংশগ্রহণে একটি অবাধ, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ইনশাআল্লাহ।’
এই বিএনপি নেতা বলেন, ‘অবৈধ সরকার জনমতের বিরুদ্ধে নির্বাচনের নামে তামাশা করতে যাচ্ছে, সেই সরকারকে সহযোগিতা করা কোনো দেশপ্রেমিক গণতন্ত্রকামী নাগরিকের জন্য উচিত হতে পারে না বলেই আমরা আজ এ মুহূর্ত থেকে এই অবৈধ সরকারকে অসহযোগিতা করার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।’