রাজনীতি সংবাদ ডেস্ক প্রকাশের সময় :২৪ নভেম্বর, ২০২৩ ১১:৪৪ : অপরাহ্ণ
বঙ্গোপসাগরে আরেকটি ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির আশঙ্কা করা হচ্ছে। রোববারের মধ্যে দক্ষিণ আন্দামান সাগর ও তার কাছাকাছি এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। সেটা নিম্নচাপে পরিণত হয়ে পর্যায়ক্রমে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়ে ডিসেম্বরে আঘাত হানতে পারে বলে আশঙ্কা করছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
এটি গত ২১ অক্টোবরের হামুন এবং ১৭ নভেম্বরের মিধিলির চেয়ে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় হওয়ার আভাসও রয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা থাকলেও অনেক সময় পুরোপুরি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয় না। সেজন্য এত আগে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার পূর্বাভাস দেওয়া কঠিন।
ঘূর্ণিঝড়টি কতটা শক্তিশালী হতে পারে জানতে চাইলে এই আবহাওয়াবিদ বলেন, বিভিন্ন মডেলের তথ্যমতে হামুন ও মিধিলির চেয়ে শক্তিশালী হতে পারে। কোথায় আঘাত হানতে পারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মডেলগুলোতে বিভিন্ন সময় ভিন্ন ভিন্ন তথ্য ও গতিপথ দেখা যাচ্ছে। এটি কখনও ভারতের তামিলনাড়ুর দিকে দেখাচ্ছে, কখনও চট্টগ্রামের দিকে দেখাচ্ছে। এমনকি ঘূর্ণিঝড়টি সাগরেই দুর্বল হয়ে যাওয়ার ইঙ্গিত আসছে। সাধারণত ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বে যে ভবিষ্যৎবাণী করা হয়ে থাকে সেটি অনেক সময় মিলতে চায় না। সেক্ষেত্রে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত না হওয়ার আগে জনসাধারণের জন্য প্রচার করা হয় না।
কানাডার সাসকাচুয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া ও জলবায়ুবিষয়ক পিএইচডি গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ বলেন, ঝড়টি হামুন ও মিধিলির চেয়ে বেশি শক্তিশালী হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। সতর্কতা হিসেবে বাংলাদেশের পাকা ধান কেটে মড়াই করে ফেলা ভালো। শীতকালীন শাক-সবজির জমিতে ঘূর্ণিঝড়ের সময় যেন পানি না জমে সেজন্য ড্রেনেজ ব্যবস্থা ভালো রাখা দরকার।
বঙ্গোপসাগরে চলতি বছরে তিনটি ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হয়েছে। এগুলো মোটামুটি বাংলাদেশ উপকূলে প্রভাব ফেলেছে। গত ৯ মে ঘূর্ণিঝড় মোখা, ২১ অক্টোবর ঘূর্ণিঝড় হামুন ও সর্বশেষ ১৭ নভেম্বর ঘূর্ণিঝড় মিধিলি সৃষ্টি হয়। এর আগে এক বছরে চারটি ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির ইতিহাস নেই।