রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় :২৫ অক্টোবর, ২০২৩ ৫:২৮ : অপরাহ্ণ
জাতীয় সংসদে আনসার বাহিনীর ক্ষমতা বৃদ্ধি করে বিল উত্থাপনকে বিরোধী দলের প্রতি ত্রাস, ভীতি ও শঙ্কা ছড়ানোর উদ্দেশ্যে রক্ষীবাহিনীর পুনরাবৃত্তি বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আবদুর রব ও সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন।
আজ বুধবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তারা এ মন্তব্য করেন।
বিবৃতিতে তারা বলেন, আনসার বাহিনী হচ্ছে সাহায্যকারী বাহিনী, যা অক্সিলারি ফোর্স হিসেবে চিহ্নিত। প্রস্তাবিত আনসার ব্যাটালিয়ন বিল-২০২৩ পাস হলে তা কার্যত আনসার বাহিনীকে পুলিশবাহিনীর সমান্তরাল বাহিনীতে পরিণত করবে এবং দুই বাহিনীর মধ্যে বিরোধ এবং বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হবে।
বিবৃতিতে বলা হয়, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় পূর্ব পাকিস্তান রাজাকার অর্ডিন্যান্স বলে যে আইন প্রণয়ন করা হয় তাতে আনসার বাহিনী বিলোপ করে রাজাকার বাহিনী গঠন করা হয়, পরে তা আধা সামরিক বাহিনী হিসেবে কাজ করে। স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে আধা সামরিক বাহিনী হিসেবে রক্ষীবাহিনী গঠন করা হয়। এই দুই আধা সামরিক বাহিনী সদস্যদের কার্যক্রম এবং তাদের ক্ষমতার অপব্যবহার অনেক অস্বাভাবিক ঘটনার জন্ম দিয়েছে। পরিশেষে দুই বাহিনীকেই বিলুপ্ত করতে হয়েছে।
বিবৃতিতে তারা বলেন, যেখানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর আচরণ এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা নিরস্ত করা যায় না, সেখানে একটি আধা সামরিক বাহিনীকে ব্যাপক ক্ষমতা ও আইনি দায়মুক্তি দেয়া হলে রক্ষীবাহিনী’র মতো তা ভয়ঙ্কর হয়ে উঠবে। অতীতেও পুলিশ এবং আনসার বাহিনী’র সমন্বয়ে নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের পূর্বে আনসারের ক্ষমতা বৃদ্ধির কোনো যৌক্তিকতা নেই।
বিবৃতিতে বলা হয়, সরকারের এমন কার্যকলাপ রাজনৈতিক ক্ষেত্রে যেমন একদলীয় ব্যবস্থা কায়েমের লক্ষ্যে ভোটারবিহীন একতরফা নির্বাচন করার পায়তারা তেমনি আনসার বাহিনীকে নতুন করে ক্ষমতা দিয়ে রক্ষীবাহিনীর কায়দায় জনগণের উপর অত্যাচারের মাধ্যমে সমাজের সর্বস্তরে ভয়ের সংস্কৃতিকে স্থায়ী রূপ দেয়ার এক ঘৃণ্য অপচেষ্টা মাত্র।
এই দুই জেএসডি নেতা বলেন, আনসার বাহিনীকে নতুন করে ক্ষমতা দেয়ার সঙ্গে বিরোধীদের কারাগারে নিক্ষেপ এবং নাগরিকদের সন্ত্রস্ত করার যে কোনো পদক্ষেপ থেকে সরকারকে বিরত থাকার আহ্বান জানাচ্ছি।
আরও পড়ুন: নির্বাচনকে সামনে রেখে আটক ও তল্লাশির ক্ষমতা পাচ্ছে আনসার