স্পোর্টস ডেস্ক প্রকাশের সময় :১৯ অক্টোবর, ২০২৩ ৯:৫৫ : অপরাহ্ণ
জয় দিয়ে শুরু বিশ্বকাপ। এরপর টানা দুই হার। এবার ভারতের কাছে হেরে হ্যাটট্রিক হারের তেঁতো স্বাদ পেলো বাংলাদেশ। নিজেদের চতুর্থ ম্যাচে বিরাট কোহলির সেঞ্চুরিতে ভারতের কাছে ৭ উইকেটে হেরেছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা।
আজ বৃহস্পতিবার পুনের মহারাষ্ট্র ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন স্টেডিয়ামে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ৫০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে স্কোরবোর্ডে ২৫৬ রান তোলে বাংলাদেশ। জবাবে ৭ উইকেট আর ৫১ বল হাতে রেখে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় ভারত।
২৫৭ রান যে পুনের উইকেটে যথেষ্ট নয়, সেটা বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের শুরুটা দেখেই বোঝা গিয়েছিল। ভারতের ব্যাটাররাও ইনিংসের শুরু থেকেই বাংলাদেশের বোলারদের ওপর চড়াও হয়।
দুই ওপেনার শুভমান গিল ও রোহিত শর্মা মিলে গড়ে তোলেন ৮৮ রানের কার্যকরী জুটি। মূলত এই জুটিতেই ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় বাংলাদেশ।
দলীয় ৮৮ রানের মাথায় রোহিতকে ফিরিয়ে প্রথম সাফল্য এনে দেন হাসান। ৪০ বলে ৪৮ করে সাজঘরে ফেরেন ভারতীয় অধিনায়ক।
এরপর বিরাট কোহলিকে নিয়ে ফের জুটি গড়েন গিল। এই জুটিতে আসে ৫০ রান। দলীয় ১৩২ রানে মিরাজে বলে আউট হওয়ার আগে গিল তুলে নেন নিজের হাফ সেঞ্চুরি।
এরপর শ্রেয়াস আইয়ারকে নিয়ে ৫০ রানের জুটি গড়েন কোহলি। দলীয় ১৭৮ রানে মিরাজের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হন আইয়ার।
তবে ততক্ষণে অনেকটা দেরি হয়ে গেছে। কারণ জয়ের ভিত যে আগেই গড়ে ফেলেছে ভারত। এরপর কেএল রাহুলকে নিয়ে সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে মাঠ ছাড়েন কোহলি।
এর আগে টস জিতে ব্যাটিং করতে নেমে পুনের ব্যাটিংবান্ধব উইকেটে দারুণ শুরু করে বাংলাদেশ।
দুই ওপেনার তানজিদ তামিম ও লিটন দাস মিলে ভারতীয় বোলারদের তুলোধুনো করে গড়েন ৯৩ রানের ওপেনিং জুটি। একটা সময় মনে হচ্ছিল বড় সংগ্রহ গড়তে যাচ্ছে বাংলাদেশ। তবে হুট করেই ছন্দপতন!
দলীয় ৯৩ রানে তামিমের বিদায়ে প্রথম উইকেট হারায় বাংলাদেশ। কুলদীপ যাদবের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ৪৩ বলে ৫১ রান করে ফেরেন বাঁহাতি এই ব্যাটার। যা তামিমের ক্যারিয়ারে প্রথম হাফ সেঞ্চুরি।
তামিমের বিদায়ের পর উইকেটে এসে থিতু হতে পারেননি অধিনায়ক শান্ত। দলীয় ১১০ রানের মাথায় জাদেজার বলে এলবিডব্লিউ হয়ে সাজঘরে ফেরেন বাঁহাতি ব্যাটার। ১৭ বল খেললেও ৮ রানের বেশি করতে পারেননি।
এরপর ক্রিজে এসে থিতু হতে পারেনি মেহেদী হাসান মিরাজও। সিরাজের বলে লোকেশ রাহুলের হাতে ক্যাচ দেয়ার আগে তিনি করেন ১৩ বলে মাত্র ৩ রান।
দ্রুত তিন উইকেটে হারিয়ে কিছুটা চাপে পড়ে বাংলাদেশ। সেই চাপ আরও বাড়ে লিটনের বিদায়ে।
এই ডানহাতি ব্যাটার জাদেজার বলে লং অফের ওপর দিয়ে তুলে মারতে গিয়ে শুভমান গিলের হাতে ধড়া পড়েন। ৮২ বলে ৭ চারে তিনি করেন ৬৬ রান।
এরপর তাওহিদ হৃদয়কে নিয়ে জুটি গড়েন অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিম। এই দুইজনের ৪২ রানের জুটিতে কিছুটা চাপ সামাল দেয় বাংলাদেশ। তবে দলীয় ১৭৯ রানের বাজে শটের খেসারত দেন তাওহিদ। ৩৫ বলে ১৬ রান করে গিলের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন।
হৃদয়ের বিদায়ের পর অভিজ্ঞ মাহমুদউল্লাহকে নিয়ে জুটি গড়েন মুশফিক। অবশ্য এই জুটিও খুব একটা বড় হয়নি। দলীয় ২০১ রানের মাথায় বুমরাহ এর বলে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে জাদেজার হাতে ধড়া পড়েন মুশফিক। ৪৬ বলে ৩৮ রান করেন ডানহাতি এই ব্যাটার।
মুশফিকের বিদায়ের পর লেজের সারির ব্যাটারদের নিয়ে লড়াই চালিয়ে যান মাহমুদউল্লাহ। অভিজ্ঞ এই ব্যাটারের ব্যাট থেকে এসেছে ৩ চার এবং ৩ ছয়। তার ৩৬ বলে ৪৬ রানের ইনিংস বাংলাদেশকে টেনে নিয়ে গিয়েছে ২৫০ পর্যন্ত।