শনিবার, ১৮ মে, ২০২৪ | ৪ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ | ৯ জিলকদ, ১৪৪৫

মূলপাতা আওয়ামী লীগ

কার সঙ্গে খেলবেন, ওবায়দুল কাদেরের কাছে মির্জা ফখরুলের প্রশ্ন


রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় :৬ অক্টোবর, ২০২৩ ৭:৩৩ : অপরাহ্ণ
ওবায়দুল কাদের ও মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
Rajnitisangbad Facebook Page

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের কাছে প্রশ্ন রেখে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘ওবায়দুল কাদের সাহেব প্রায়ই বলেন, খেলা হবে। আমি জানতে চাই, কার সঙ্গে খেলবেন? যাদের সঙ্গে খেলবেন, তাদের জেলে পাঠিয়ে দিয়ে?’

আজ শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর পুরানা পল্টনে গণঅধিকার পরিষদের সংহতি সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

আজ গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওয়াশিংটন সফরে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেইক সুলিভানের সঙ্গে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে কথা হওয়ার প্রসঙ্গ উত্থাপন করে বলেন, ‘আমি অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যাপারে সরকারের অঙ্গীকারের কথা পুনর্ব্যক্ত করেছি।’

আরও পড়ুন: বেশি কথা বললে সব বন্ধ করে দিয়ে বসে থাকবো: প্রধানমন্ত্রী

এ প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘২০১৪ সালের নির্বাচন বর্জন করেছিলাম। প্রধানমন্ত্রীর কথায় বিশ্বাস রেখে ২০১৮ সালের নির্বাচনে গিয়েছিলাম। তিনি আমাদের ওয়াদা করেছিলেন, নির্বাচনে সমান সুযোগ দিবেন। কিন্তু ভোটের আগে একটি কথাও রাখেননি তিনি। এখন আবার বলছেন, সংবিধান অনুযায়ী অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করবেন। কিছুক্ষণ আগেও গণভবনে একই কথা বলেছেন, নির্বাচন সুষ্ঠু হবে, অবাধ হবে।’

সরকারকে উদ্দেশ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আপনারা বারবার বলেন যে, সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ হবে। কিন্তু আপনি (প্রধানমন্ত্রী) যদি পিছন দিকে তাকিয়ে দেখেন, গত ১৫ বছরের বিরোধী দলের (বিশেষ করে বিএনপির) লক্ষ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়েছেন। ৬০০ অধিক নেতাকর্মীদের গুম করেছেন এবং হাজার হাজার মানুষকে বিনা বিচারে হত্যা করেছেন। এখন পত্র-পত্রিকায় বেরিয়েছে বিএনপির নেতাদের বিরুদ্ধে যতো মামলা।’

আরও পড়ুন: বিএনপি নেতাদের কার কাঁধে কত মামলা

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এবারও তারা (আওয়ামী লীগ) ওয়াকওভার নিয়ে সরকার গঠন করতে চায়। যতই নির্বাচন ঘনিয়ে আসছে ততই অতি দ্রুত এই মামলাগুলোকে নিষ্পত্তি করে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের সাজা দেয়ার জন্য স্পেশাল সেল তৈরি করেছে। তারা ম্যাজিস্ট্রেট ও বিচারকদের নির্দেশ দিয়েছে, অতি দ্রুত বিচার শেষ করো। দুই মাসের মধ্যে শেষ করো। পুলিশদেরও বলেছে, যেগুলো চার্জশিট হয়নি। চার্জশিট তৈরি করো। অতি দ্রুত। এটার নাম হচ্ছে তাদের সুষ্ঠু নির্বাচন।’

এ সময় সরকারকে হুঁশিয়ার করে দিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘এবার এ রকম কিছু করা সম্ভব নয়। এটা করার জন্য এবার বাধা এসেছে। কোথা থেকে এসেছে? ওই পশ্চিমা বিশ্বের গণতান্ত্রিক দেশগুলো এবার বাধা দিয়েছে। বলেছে ওই ১৪ এবং ১৮ সালের নির্বাচন আর চলবে না। এবার একটা সুষ্ঠু, অবাধ ও অংশগ্রহণকারী নির্বাচন হতে হবে।’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘পশ্চিমা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রগুলো বলে দিয়েছে, ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনের মতো ভোটারবিহীন নির্বাচন আর করা যাবে না। এবারের নির্বাচন হতে হবে সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক। আমরা বলে দিয়েছি, শেখ হাসিনার অধীনে কোনো নির্বাচন হবে না। এ সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন হতে দেবো না।’

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার চিকিৎসা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে হত্যার উদ্দেশে তার চিকিৎসার ব্যবস্থা না করে এমন কথা বলেছেন যা মুখেও আনা যায় না। অশালীন ও অরুচিকর কথা। এটা পরিষ্কার, আপনি যে তার (খালেদা জিয়ার) মৃত্যু চান। আপনি যে তাকে হত্যা করতে চান, এটা পরিষ্কার। যে আর কতো বাঁচবে। এবার আপনাকেও গুনতে হবে। আপনি আর কতো দিন ক্ষমতায় টিকে থাকবেন। মানুষ আপনাকে ক্ষমতা থেকে টেনে হিচড়ে বের করে দিয়ে জনগণের শাসন প্রতিষ্ঠা করবে।’

আরও পড়ুন: কতটা অমানবিক হলে প্রধানমন্ত্রী এ ধরনের কথা বলতে পারেন: ফখরুল

মন্তব্য করুন
Rajnitisangbad Youtube


আরও খবর