শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪ | ৮ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২০ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬

মূলপাতা আঞ্চলিক রাজনীতি

শ্রীলঙ্কা,পাকিস্তানে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রয়েছে: জি এম কাদের


আজ রংপুরে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের করব জিয়ারত শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান জি এম কাদের। ছবি: সংগৃহীত

রাজনীতি সংবাদ প্রতিনিধি, রংপুর প্রকাশের সময় :১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ৫:১৫ : অপরাহ্ণ

জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান জি এম কাদের বলেছেন, ‘আজ নানা অজুহাত দিয়ে দ্রব্যমূল্যের দাম বাড়ানো হচ্ছে। অথচ দেউলিয়া হয়ে যাওয়া শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তানের মতো দেশে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আমাদের দেশের তুলনায় বিশ্ব বাজারে সকল পণ্যের দাম কম রয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘সিন্ডিকেট সরকারকে পাত্তা দিচ্ছে না। সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দামে পণ্য বিক্রি হচ্ছে। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সরকারের কোনো পদক্ষেপ জনগণের চোখে পড়ছে না। মানুষ দ্রব্যমূল্যের চাপে অত্যন্ত কষ্টে আছে।’

আজ শুক্রবার দুপুরে রংপুর নগরীর দর্শনাস্থ ‘পল্লী নিবাস’ বাসভবনে জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের করব জিয়ারত শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।

জি এম কাদের বলেন, ‘কোনো পণ্যের দাম বেঁধে দেওয়ার আগে বাজারে চাহিদা ও যোগান কত- তা পরিমাপ করতে হয়, নানা ধরনের ডাটা নিতে হয়, গবেষণা করতে হয়। পেঁয়াজ, ডিম ও আলুর দাম নির্ধারণের ক্ষেত্রে সরকার এসব বিষয় বিবেচনা করেনি বলে আমার মনে হয়েছে। ফলে বাজারে এসব পণ্যের দাম কমেনি।’

জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান বলেন, ‘সরকার যতই দাম নির্ধারণ করুক, যদি চাহিদার তুলনায় যোগান কম-বেশি হয়, তবে সে দাম স্থির রাখা সম্ভব হবে না। এছাড়া সরকার জোর করে পণ্যের দাম বাড়ালে জনগণ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। আবার কমালে উৎপাদনকারী-ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে।’

পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও সরকার ব্যর্থ হয়েছে মন্তব্য করে জি এম কাদের বলেন, ‘আমি বাণিজ্যমন্ত্রী থাকাকালীন দ্রব্যমূল্য মানুষের হাতের নাগালে ছিল। আমার সময়ে দাম বাড়লে বা কমলে জনগণ জানতো দাম বাড়া ও কমার কারণ কী। তখন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতি মানুষের আস্থা ছিল।’

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সঠিক সময়ে হবে কিনা-জনগণ তা নিয়ে শঙ্কা রয়েছে মন্তব্য করে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান বলেন, ‘আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমরা ৩০০ আসনে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়েছি। বর্তমানে রাজনৈতিক পরিস্থিতি অস্থিতিশীল, অনিশ্চিত ও অস্বচ্ছ। সরকার এক পদ্ধতিতে নির্বাচন করতে চাচ্ছে, অপর পক্ষ আরেক পদ্ধতিতে নির্বাচন চাচ্ছে। কোন পক্ষ টিকে থাকবে জানি না। সঠিক সময়ে নির্বাচন হবে কি না-এ নিয়ে জনগণের শঙ্কায় রয়েছে। তাই আমরা আশা করছি, সকল আসনে এককভাবে নির্বাচন করব। বাকিটা সামনে বোঝা যাবে।’

জাতীয় সংসদে রওশন এরশাদের বক্তব্যের সমালোচনা করে জি এম কাদের বলেন, ‘উনি কেন সংসদে নির্বাচনে যাওয়ার কথা বলেছেন তা আমার জানা নেই। সম্মানি ব্যক্তি হিসেবে তাকে দলের পৃষ্ঠপোষক করা হয়েছে। তিনি আমাদেরকে পরামর্শ দিতে পারেন। সেটি আমরা গ্রহণ করতে পারি, আবার নাও পারি। সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য কোনো নির্বাহী ক্ষমতা তাকে দেওয়া হয়নি। দলের কোনো সিদ্ধান্ত চেয়ারম্যান অথবা মহাসচিব দেবেন। এর বাইরে কেউ কিছু বললে তা হবে তার ব্যক্তিগত মতামত।’

মন্তব্য করুন
Rajniti Sangbad


আরও খবর