রাজনীতি সংবাদ ডেস্ক প্রকাশের সময় :৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ১১:৩০ : অপরাহ্ণ
হারলেই বিদায়। জিতলে সুপার ফোরের হাতছানি। এমন সমীকরণের ম্যাচে সুযোগ হাতছাড়া করলো না বাংলাদেশ। জোড়া সেঞ্চুরিতে ব্যাট হাতে দ্যুতি ছড়ালেন মিরাজ-শান্ত। বোলিংয়ে জ্বললেন শরিফুল-তাসকিনরাও।
দুই বিভাগের দাপটে আফগানিস্তানকে পাত্তাই দিলো না বাংলাদেশ। ৮৯ রানের দাপুটে জয়ে এশিয়া কাপের সুপার ফোরের পথে অনেকটা এগিয়ে গেছে।।
আজ রোববার এশিয়া কাপে লাহোর গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৫ উইকেটে স্কোরবোর্ডে ৩৩৪ রান তুলে বাংলাদেশ। জবাবে জবাবে ৪৪.৩ ওভারে ২৪৫ রানে গুটিয়ে গেছে আফগানরা।
৩৩৫ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে যদিও ভিন্ন আশা জাগায় আফগানিস্তান। যে টার্গেট কখনও টপকাতে পারেনি তা আজ করে দেখানোর আভাস দেয়। কিন্তু সেই আভাসে জল ঢেলে দেন শরিফুলরা। শুরুতে রহমানউল্লাগ গুরবাজকে হারানোর পর থিতু হওয়া রহমত শাহের প্রতিরোধ ভাঙেন তাসকিন।
এর পর লড়াই করা ইব্রাহিম জাদরানের প্রতিরোধ ভাঙেন হাসান মাহমুদ। যদিও সেখানে মুশফিকুর রহিমের দুর্দান্ত ক্যাচ বড় ভূমিকা রাখে। তরুণ পেসার হাসানের সিম-আপ ডেলিভারিতে ব্যাট চালান ইব্রাহিম। তা হয়ে যায় এজড। ক্যাচ চলে যায় স্লিপে। ডানদিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে ক্যাচ লুফে নেন মুশফিক। ৭৪ বলে ৭৫ রান করে বিদায় নেন ইব্রাহিম।
হাফসেঞ্চুরি করা শাহীদিকে নিজের দ্বিতীয় শিকার বানান শরিফুল। বাংলাদেশি পেসারের অফ স্টাম্পের বাইরের বলে আউটসাইড-এজড হয়ে ডিপ থার্ডম্যানে ধড়া পড়েছেন আফগান অধিনায়ক। ৬০ বলে ৫১ করে থামে তার প্রতিরোধ।
মাঝে নাজিবুল্লাহকে মাঠছাড়া করেন মিরাজ। একের পর এক উইকেট হারিয়ে জয়ের নাগাল পায়নি আফগানরা। শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশের কাছে হার মেনেই মাঠ ছাড়েন রশিদ খানরা।
এর আগে টস জিতে ব্যাটিং বেছে নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব। তবে ওপেনিং নিয়ে আজ অন্য বাজি খেলেন অধিনায়ক। নাঈম শেখের সঙ্গে নামিয়ে দেন মেহেদী হাসান মিরাজকে।
ইনিংসের শুরুতেই দুজনে খেলেন আগ্রাসী ইনিংস। দলীয় ৫ ওভারেই স্কোরবোর্ডে তোলেন ৩৩ রান। ওপেনিং জুটি গিয়ে থামে দলীয় ৬০ রানে।
নাঈমকে ফিরিয়ে এই জুটি ভাঙেন মুজিবুর রহমান। দশম ওভারে মুজিবের গুগলিতে লাইন মিস করে ফেলেন নাঈম। বল গিয়ে আঘাত হানে স্টাম্পে। ৩২ বলে ২৮ রান করে ফেরেন নাঈম।
নাঈম ফেরার পর ওয়ানডাউনে নামানো হয় তাওহিদ হৃদয়কে। গত ম্যাচে ফ্লপ হওয়া হৃদয় আজও হলেন ব্যর্থ। ১১তম ওভারে গুলবদিন নাঈবের বলে প্রথম স্লিপে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন হৃদয় (০)। তাকে ফেরানো ক্যাচটি ছিল দুর্দান্ত। অনেকটা ঝাঁপিয়ে পড়ে ক্যাচটি নিয়েছেন হাশমতউল্লাহ শহীদি।
দলীয় ৬২ রানে দুই উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে যায় বাংলাদেশ। সেখান থেকে দলকে উদ্ধার করে মিরাজ ও শান্তর জুটি।
ওপেনিংয়ে নামা মিরাজ হয়ে ওঠেন ভরসার ঢাল। শুরু থেকে নির্ভার থেকে ৬৫ বলে স্পর্শ করেন হাফসেঞ্চুরি। এরপর শান্তকে নিয়ে ছুটতে থাকেন মিরাজ। দুজনেই তুলে নেন সেঞ্চুরি।
প্রথমে শতকের দেখা পান মিরাজ। এরপর শান্ত। ৪০.৪ ওভারে নাইবের বলে সিঙ্গেল নিয়ে তিন অঙ্কের ঘরে যান মিরাজ। এরপর ৪২.৪তম ওভারে ১০১ বলে সিঙ্গেল নিয়ে সেঞ্চুরি স্পর্শ করেন শান্ত। শতক ছোঁয়ার পর বেশিদূর গেল না তাদের ইনিংস।
১১২ রানে চোট পেয়ে মাঠ ছাড়েন মিরাজ। ১১৯ বলে ৭ বাউন্ডারি ও তিন ছক্কায় সাজান নিজের ইনিংস। অন্যদিকে ১০৫ বলে ১০৪ রানে রান আউটে কাটা পড়েন শান্ত। তিনি ইনিংস সাজান ৯ বাউন্ডারি ও দুটি ছক্কায়।
সেট দুই ব্যাটার ফিরলে বাকিটা টানেন সাকিব-মুশফিক। দুজনের ব্যাটে বাংলাদেশ পায় লড়াইয়ের পুঁজি। সাকিব করেন ১৮ বলে ৩২ রান। আর মুশফিক করেন ১৫ বলে ২৫ রান। ৬ বলে শামিম করেন ১১ রান।