রাজনীতি সংবাদ ডেস্ক প্রকাশের সময় :২৪ আগস্ট, ২০২৩ ৯:৩৩ : অপরাহ্ণ
যুদ্ধাপরাধের মামলায় বহুল আলোচিত সাক্ষী সুখরঞ্জন বালিকে নিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রে পিএইচডি গবেষণারত তানজিলুর রহমান নামের এক বাংলাদেশি প্রবাসী। তানজিলুর রহমান ফেসবুকে এই স্ট্যাটাস দেওয়ার পর গত ২০ আগস্ট খুলনায় গোপনে বৈঠকে ষড়যন্ত্রের অভিযোগে তার বৃদ্ধা মা আনিসা সিদ্দিকাসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপর তাদের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হয়।
আনিসা সিদ্দিকাকে (৫৮) গ্রেপ্তারের ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছে মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। অবিলম্বে তাকে মুক্তি দেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে।
গতকাল বুধবার মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল তাদের ওয়েবসাইটে এ-সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করে।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশে কর্তৃপক্ষ অনলাইন কিংবা অফলাইনে বিরোধী মতপ্রকাশকারীদের প্রতি অসহিষ্ণু আচরণ করছে। ছেলে সরকারবিরোধী পোস্ট দেওয়ায় মাকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি হাস্যকর। আগামী বছরের জাতীয় নির্বাচনের আগে বিরোধী রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের নির্বিচারে গ্রেপ্তারে ভয় ও বিশ্বাসহীনতার পরিবেশ তৈরি হয়েছে।
অ্যামনেস্টির দক্ষিণ এশিয়ার গবেষণার অন্তর্বর্তী উপ-আঞ্চলিক পরিচালক নাদিয়া রহমান বলেন, গ্রেপ্তার আনিসা সিদ্দিকাকে হয় মুক্তি দিতে হবে, আর না হয় তাকে একটি স্বীকৃত অপরাধের জন্য অভিযুক্ত করতে হবে। বিরোধী ভিন্নমতের মানুষদের আটক করার চর্চা বন্ধ করতে হবে। ভিন্ন রাজনৈতিক মতামত কিংবা প্রকাশ কোনো অপরাধ নয়। কণ্ঠরোধের পরিবর্তে জনগণের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে। জনগণ যেন প্রতিশোধ বা বৈষম্যের ভয় ছাড়াই, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, সংগঠন এবং শান্তিপূর্ণ সমাবেশের অধিকারসহ নির্বাচনের সময় ও আগে-পরে তাঁদের মানবাধিকার প্রয়োগ করতে সক্ষম হয়।
অ্যামনেস্টির প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০ আগস্ট আনিসা সিদ্দিকাকে ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনে ১৫ (৩) (নাশকতা) ও ২৫ (ডি) (নাশকতা চেষ্টার জন্য শাস্তি) ধারায় গ্রেপ্তার করা হয়। এজাহারে বলা হয়, তদন্তে দেখা গেছে, আনিসা অন্য আসামিদের সঙ্গে ‘সরকারের বিরুদ্ধে ইচ্ছাকৃত নাশকতা ঘটাতে বিভিন্ন ক্ষতিকারক কাজ’ করতে চেয়েছিলেন। এমনকি তিনি বিরোধী রাজনৈতিক দল জামায়াতের নেতাদের গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে সরব হয়েছিলেন। ২৩ আগস্ট খুলনা মহানগর হাকিম আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করেন।