রাজনীতি সংবাদ ডেস্ক প্রকাশের সময় :২৩ আগস্ট, ২০২৩ ৫:৫২ : অপরাহ্ণ
বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ কোনো বিষয় নিয়ে চীন হস্তক্ষেপ করে না বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের আগামী নির্বাচন কেমন হবে, কাকে ক্ষমতায় আনবে তা এদেশের জনগণ ঠিক করবে।’
আজ বুধবার বিকেলে সচিবালয়ে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরীর সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।
বৈঠকে বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে কোনো আলোচনা হয়েছে কিনা-এমন প্রশ্নের জবাবে চীনা রাষ্ট্রদূত সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি আগেই জোর দিয়ে বলেছি, আমরা একটি বিষয়ে এখনও অবিচল যে, চীন কখনোই কোনো দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করবে না। কোনো দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের বিরোধিতা করে চীন। নির্বাচন বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়, এটিই আমাদের সিদ্ধান্ত।’
মোংলা বন্দরের উন্নয়ন নিয়ে ইয়াও ওয়েন বলেন, ‘আমরা মোংলা বন্দরের উন্নয়ন নিয়ে কথা বলেছি। এই বন্দর ও পদ্মা সেতু কীভাবে ব্যবহার করা যায়, তা নিয়ে আমাদের কথা হয়েছে। বাংলাদেশের পশ্চিম অংশের উন্নয়নের ভালো সুযোগ আমাদের কাছে আছে। সেক্ষেত্রে বাংলাদেশের সঙ্গে একসঙ্গে কাজ করতে চায় চীন। ভবিষ্যৎ প্রস্তুতি নিয়ে বার্তা দিতেই আমি এখানে এসেছি।’
মোংলা বন্দর উন্নয়নে কী ধরনের সহায়তা দেওয়া হবে-জানতে চাইলে চীনা রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিকীকরণে সহায়তা করবে চীন। বৈদ্যুতিক যান উৎপাদনে বিশ্বে আমরাই সবচেয়ে বড়। কাজেই আমরা কেন মোংলা বন্দরে বৈদ্যুতিক ও ব্যাটারি প্ল্যান্ট স্থাপন করব না? আইসিটি, সৌর বিদ্যুৎ ও কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণেও বাংলাদেশকে সহায়তা করতে পারবে চীন।’
ইয়াও ওয়েন বলেন, ‘বাংলাদেশে বিপুল পরিমাণ ফল উৎপাদিত হয়। ফল প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্প স্থাপনে সহায়তা করতে পারে চীন। কাজেই মোংলা বন্দরকে কেন্দ্র করে আমরা অনেক সম্ভাবনা দেখছি। প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে এসব বিষয় নিয়ে কথা হয়েছে।’
বৈঠক শেষে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ বলেন, ‘বাংলাদেশের সঙ্গে বন্ধুত্বটা তারা আরও বেশি এগিয়ে নিতে চায়, আমরাও চাই। আগামী নির্বাচনের ব্যাপারে তাদের ভূমিকা খুবই পরিষ্কার। আমরা চাই, বাংলাদেশের জনগণই নির্ধারণ করবে যে দেশ কারা পরিচালনা কে করবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও তাই চান।’
খালিদ মাহমুদ বলেন, ‘খুলনার মোংলা বন্দরকে আধুনিকায়ন করতে ৫ হাজার কোটি টাকার প্রকল্পে বিনিয়োগ করতে চায় চীন। এ ছাড়া মেরিটাইমে বিনিয়োগের আগ্রহ দেখিয়েছে দেশটি। তাদের অর্থায়নে ছয়টি জাহাজ কেনা হয়েছে। আরও জাহাজ কেনার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।’