রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় :১৯ আগস্ট, ২০২৩ ৫:২৪ : অপরাহ্ণ
সরকার পতনের মধ্যে দিয়ে নতুন দিগন্তের সূচনা হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
আজ শনিবার বিকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পদযাত্রাপূর্ব সমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন।
দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নি:শর্ত মুক্তি ও উন্নত চিকিৎসার দাবিতে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপি যৌথভাবে এ পদযাত্রার আয়োজন করে।
সমাবেশে মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা সব রাজনৈতিক দলগুলো একদফা দাবিতে আন্দোলন করছি। এই একদফার আন্দোলনের দাবির মধ্যে খালেদা জিয়ার মুক্তির কথাও আছে। আর বিএনপি চেয়ারপারসন হাসপাতালে জীবন-মৃত্যুর সঙ্গে সংগ্রাম ও লড়াই করছেন। বন্দি অবস্থায় তার কোন কিছু ঘটলে সকল দায়দায়িত্ব এই সরকারকেই নিতে হবে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, বেগম খালেদা জিয়া এই উপমহাদেশের শুধু নয়, এশিয়ার গণতান্ত্রিক আন্দোলনের একজন নেত্রী। খালেদা জিয়াকে বন্দি করা হয়েছিল ২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে। এখনো তিনি বন্দি অবস্থায় আছেন। অবিলম্বে তাকে মুক্তি দিতে হবে। তিনি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তিনি অত্যন্ত অসুস্থ।
আরও পড়ুন: ভারতকে যে বার্তা দিলেন মির্জা ফখরুল
মির্জা ফখরুল বলেন, খালেদা জিয়া গৃহবধূ থেকে রাজনীতিতে এসেছেন। এসেই গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করছেন। তিনি সারাদেশে হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালা তথা চারণ কবির মতো দেশের মানুষকে গণতন্ত্রের পক্ষে জাগ্রত করে চলছেন। তাকে মিথ্যা মামলায় সাজা দেয়া হয়েছে। যেই দুই কোটি টাকার অভিযোগে তাকে সাজা দেয়া হয়েছে সেই টাকা এখন ৮ কোটি টাকা হয়েছে। একই ধরনের মামলা আওয়ামী লীগের অনেক নেতার বিরুদ্ধে হয়েছিল। কিন্তু তাদেরকে শুধু মুক্তি দেয়া হয়নি, মামলাও তুলে নেয়া হয়েছে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, এরা অসাংবিধানিক ও অবৈধ সরকার। তারা ১৫ বছর ধরে জনগণের কাঁধে চেপে বসেছে। এরা এখন গণতন্ত্রের জন্য নাকি সুষ্ঠু নির্বাচন চায়।
মির্জা ফখরুল বলেন, আজকে আমাদের নেতা-কর্মীদের কেউ ঘরে থাকতে পারে না। তাদেরকে পুলিশ হয়রানি করছে। এরা বিচার বিভাগ থেকে শুরু করে সবই ধ্বংস করেছে। আমরা এই সরকারের পদত্যাগ চাই। ইনশাআল্লাহ আগামীতে একটি ভালো নির্বাচন হবে। যেখানে জনগণ তাদের ভোট দিতে পারবে। সুতরাং এখনো সময় আছে নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার করবেন না, বাসা বাড়িতে হানা দিবেন না। বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিন। অবিলম্বে এক দফা দাবি মেনে নিয়ে পদত্যাগ করুন।
সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, ড. মঈন খান, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান ও আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালাম এবং সঞ্চালনা করেন উত্তরের সদস্য সচিব আমিনুল হক ও দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিব তানভীর আহমেদ রবিন।