রবিবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২৪ | ৯ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২১ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬

মূলপাতা বিএনপি

সরকার পতনের এক দফা আন্দোলনের ঘোষণা বিএনপির


রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির সমাবেশে বক্তব্য রাখেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি: সংগৃহীত

রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় :১২ জুলাই, ২০২৩ ৬:১৬ : অপরাহ্ণ

নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারসহ বেশ কিছু দাবিতে এক দফা আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি।

আজ বুধবার বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে আয়োজিত বিশাল সমাবেশ থেকে এই এক দফার ঘোষণা দেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

এক দফা আন্দোলনের ঘোষণা দিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, বাংলাদেশের জনগণের ভোটাধিকার হরণকারী বর্তমান ফ্যাসিবাদী, কর্তৃত্ববাদী সরকারের পদত্যাগ ও বিদ্যমান অবৈধ সংসদের বিলুপ্তি, নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার গঠন ও নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন করে তার অধীনে অবাধ, নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের ব্যবস্থা, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াসহ সব রাজবন্দীর মুক্তি, মিথ্যা-গায়েবী মামলা প্রত্যাহার, ফরমায়েশি সাজা বাতিল এবং সংবিধান ও রাষ্ট্রব্যবস্থার গণতান্ত্রিক সংস্কারের মাধ্যমে জনগণের অর্থনৈতিক মুক্তি, ভোটাধিকার ও গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার এক দফা দাবিতে রাজপথে সক্রিয় বিরোধী রাজনৈতিক জোট ও দলসমূহ যুগপৎ ধারায় ঐক্যবদ্ধ বৃহত্তর গণআন্দোলন গড়ে তোলা ও সফল করার ঘোষণা করছি।

এক দফা দাবির পক্ষে তিনি ১৮ জুলাই ঢাকাসহ সারা দেশের জেলা ও মহানগরে শান্তিপূর্ণ পদযাত্রা এবং ১৯ জুলাই শুধু ঢাকায় শান্তিপূর্ণ পদযাত্রা কর্মসূচি ঘোষণা করেন।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, এটি হলো প্রাথমিক কর্মসূচি। পরবর্তীতে জনগণের চাহিদা অনুযায়ী কর্মসূচি দেয়া হবে।

এর আগে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, জনগণের প্রতিবাদের সুনামি শুরু হয়েছে। আজকের এই সমাবেশ তার প্রমাণ। অনেক চেষ্টা করেছে এটাকে বানচাল করার। ঠেকিয়ে রাখতে পারে নাই। একটা মাত্র আশা মানুষের, পরিবর্তন চাই।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, এই সরকার বাংলাদেশ বিরোধী সরকার। গণতন্ত্র বিরোধী সরকার।

সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, শেখ হাসিনার অধীনে কোনো নির্বাচন হবে না। হতে দেয়া হবে না।

স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান বলেন, এই সরকার আর থাকতে পারে না। তাদের বিদায় নিতে হবে। এটিই আমাদের এক দফা দাবি।

দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ভোট চুরির প্রকল্পে যারাই জড়িত হবে তাদের জনতার আদালতের মুখোমুখি হতে হবে। কেউ রেহাই পাবে না। জনগণ জেগেছে। যেতে হবে। সংবিধানের দোহাই দিয়ে আর হবে না। সংবিধানতো তারা খেয়ে ফেলেছে। সংবিধান আছে? শেখ হাসিনার অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে না এটা এখন সবাই বিশ্বাস করছে। নিরপেক্ষ নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন হতে হবে, এর কোনো বিকল্প নেই।

মন্তব্য করুন
Rajniti Sangbad


আরও খবর