শুক্রবার, ১৭ মে, ২০২৪ | ৩ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ | ৮ জিলকদ, ১৪৪৫

মূলপাতা জাতীয়

বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচনে পদক্ষেপ চেয়ে ব্লিনকেনকে ৬ কংগ্রেসম্যানের চিঠি


রাজনীতি সংবাদ ডেস্ক প্রকাশের সময় :১৫ জুন, ২০২৩ ৯:১৯ : পূর্বাহ্ণ
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন। ফাইল ছবি
Rajnitisangbad Facebook Page

বাংলাদেশে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে অবনতিশীল মানবাধিকার পরিস্থিতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের ৬ জন কংগ্রেস সদস্য।

তারা গত ৮ জুন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেনের কাছে লেখা এক চিঠিতে এই উদ্বেগের কথা জানান। একইসঙ্গে সম্প্রতি নিষেধাজ্ঞা দেয়া র‌্যাবসহ আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো মারাত্মকভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে বলেও এতে উল্লেখ করা হয়।

চিঠিতে বাংলাদেশে সুষ্ঠু ও অবাধ জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানে তারা যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা চেয়েছেন।

চিঠিতে স্বাক্ষরকারী কংগ্রেসম্যানরা হলেন-উইলিয়াম আর কেটিং, জেমস পি ম্যাকগভার্ন, বারবারা লি, জিম কস্তা, দিনা তিতাস ও জেমি রাশকিন।

এতে তারা বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তাদের বারবার এবং স্পষ্ট বিবৃতি এবং পদক্ষেপ গ্রহণ বাংলাদেশ সরকারকে তার মানবাধিকারের বাধ্যবাধকতাগুলো নিশ্চিত করতে সহায়ক হবে।

বিশেষ করে আসন্ন নির্বাচনকে সামনে রেখে এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, এরই মধ্যে বিরোধী দলগুলোর বিরুদ্ধে গণগ্রেপ্তার ও সহিংসতা শুরু হয়েছে। এর ফলে নির্বাচনের ফল কলঙ্কিত হতে পারে। তাতে সামাজিক সংঘাত গভীর হতে পারে।

গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে ২০২১ সালে র‌্যাব ও বাহিনীর তৎকালীন বর্তমান ও সাবেক সাত কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্র। ওই নিষেধাজ্ঞাকে স্বাগত জানিয়ে কংগ্রেস সদস্যরা চিঠিতে লিখেছেন, দুর্ভাগ্যজনকভাবে এরপরও বাংলাদেশে দমন–পীড়ন কমেনি।

এ পরিস্থিতিতে সুশীল সমাজ সংগঠন, মানবাধিকারকর্মী ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় ভুক্তভোগীদের রক্ষায় যুক্তরাষ্ট্র কী পদক্ষেপ নিচ্ছে, তা জানতে চেয়েছেন তারা।

পাশাপাশি বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ আছে কি না, তা পররাষ্ট্র দপ্তর কিসের ভিত্তিতে পর্যালোচনা করবে, তা–ও জানতে চেয়েছেন কংগ্রেস সদস্যরা।

চিঠিতে কংগ্রেস সদস্যরা যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের কাছে ছয়টি বিষয়ে জানতে চেয়েছেন। সেগুলো হলো-

১. বাংলাদেশে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার দ্বারা সংঘটিত মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রতিবেদনগুলো কীভাবে স্টেট ডিপার্টমেন্ট চিহ্নিত করে?

২. বাংলাদেশে সংঘটিত গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে অগ্রগতি বা তার অভাবের মূল্যায়ন করার জন্য স্টেট ডিপার্টমেন্ট কোন সূচকগুলো ব্যবহার করছে?

৩. নাগরিক সমাজের সংগঠন, মানবাধিকার রক্ষাকারী ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের শিকার ব্যক্তিদের সুরক্ষার জন্য স্টেট ডিপার্টমেন্ট কী ব্যবস্থা গ্রহণ করছে?

৪. র‌্যাব, বর্তমান ও সাবেক সরকারি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা ও ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিষয়ে সমন্বয় করতে মার্কিন জোটকে উৎসাহিত করার জন্য স্টেট ডিপার্টমেন্ট কী প্রচেষ্টা চালিয়েছে?

৫. গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার সঙ্গে জড়িত বলে বিশ্বাস করা হয় এমন যেকোনো বাংলাদেশি ব্যক্তির জন্য ভিসা সীমাবদ্ধ করার নতুন নীতির পাশাপাশি মার্কিন সরকার ২০২৪ সালের জানুয়ারির নির্ধারিত নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে তা নিশ্চিত করতে সহায়তা করছে?

৬. মতপ্রকাশের স্বাধীনতা এবং সমাবেশসহ অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের শর্ত বিদ্যমান কি না তা মূল্যায়ন করতে স্টেট ডিপার্টমেন্ট কোন সূচক ব্যবহার করছে?

এর আগে মার্কিন কংগ্রেসের অপর ছয় সদস্য প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে লেখা চিঠিতে বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতির সমালোচনা করেন। পাশাপাশি বাংলাদেশের মানুষ যাতে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনে অংশ নিতে পারেন, সে সুযোগ সৃষ্টির জন্য প্রেসিডেন্টকে ভূমিকা রাখার অনুরোধ জানান।

এ ছাড়া ১২ জুন বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনে ভূমিকা রাখতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রনীতিবিষয়ক প্রধান জোসেপ বোরেলকে একটি চিঠি লেখেন ইউরোপীয় পার্লামেন্টের ছয় সদস্য।

আরও পড়ুন: মার্কিন নিষেধাজ্ঞা: শেখ হাসিনার অবস্থানের প্রতি চীনের সমর্থন

মন্তব্য করুন
Rajnitisangbad Youtube


আরও খবর