শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪ | ৮ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২০ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬

মূলপাতা ইসলামী দল

‘পুলিশের কিছু কর্মকর্তা জামায়াতের কর্মসূচি নিয়ে নাটক করে’


আজ রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউটে জামায়াতে ইসলামীর সমাবেশে বক্তব্য দেন দলটির কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য হামিদুর রহমান আজাদ। ছবি: সংগৃহীত

রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় :১০ জুন, ২০২৩ ৫:০১ : অপরাহ্ণ

পুলিশের কিছু কর্মকর্তা জামায়াতের কর্মসূচি নিয়ে নাটক করে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য হামিদুর রহমান আজাদ।

তিনি বলেন, ‘আমরা বরাবরই শান্তিপূর্ণ আন্দোলন ও কর্মসূচিতে বিশ্বাস করি। কিন্তু পুলিশের কিছু কর্মকর্তা কল্পিত নাশকতার নাটক সাজায়। সরকার প্রতিহিংসা পরায়ণ। তারা জনগণকে ভয় পায়। এজন্যই পুলিশকে দিয়ে নাটক সাজায়।’

আজ শনিবার দুপুরে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউটে আয়োজিত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

জামায়াতের ইসলামীর ঢাকা মহানগর দক্ষিণের উদ্যোগে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন জামায়াতের ইসলামীর ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আমির নুরুল ইসলাম বুলবুল।

যুদ্ধাপরাধসহ নানা কারণে কোণঠাসা হয়ে পড়া জামায়াত এতোদিন প্রকাশ্যে রাজনৈতিক কর্মসূচি পালনের সুযোগ পায়নি। দীর্ঘ প্রায় এক দশকের বেশি সময় পর রাজধানীতে সমাবেশ করার অনুমতি পেয়েছে দলটি।

সমাবেশকে কেন্দ্র করে সকাল থেকেই রমনা এলাকায় আসতে থাকেন জামায়াতের নেতা-কর্মীরা। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনের সামনে নেতা-কর্মীদের ঢল নামে।

‘পুলিশের কিছু কর্মকর্তা জামায়াতের কর্মসূচি নিয়ে নাটক করে’

সমাবেশে হামিদুর রহমান আজাদ বলেন, ‘দেশে আইনের শাসন নয়, একদলীয় স্বৈরতন্ত্র চলছে। সরকারের লুটপাট ও অর্থ পাচারের কারণে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে দেশের মানুষের জীবন দুর্বিসহ হয়ে পড়েছে। বাকস্বাধীনতা, মৌলিক অধিকার, মানবাধিকার নেই। এই সরকারের হাতে গণতন্ত্র, গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান, আইনবিভাগ, বিচারবিভাগ, প্রশাসনসহ সবকিছুই ধ্বংস হয়ে গেছে।’

সাবেক এই সংসদ সদস্য বলেন, ‘আওয়ামী লীগের অতীত ইতিহাস ভালো নয়। তারা যখনই ক্ষমতায় এসেছে, তখনই গণতন্ত্রের ওপরই প্রথম আঘাতটি হেনেছে। আগেও সব রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করে একদলীয় স্বৈরাচারী বাকশাল গঠন করে গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে।’

দেশের অবস্থা তুলে ধরে সাবেক হামিদুর রহমান আজাদ বলেন, ‘মানুষ জেগে ওঠেছে। সরকারের পায়ের তলায় মাটি নেই। জনজীবনকে দুর্বিসহ করে তুলেছে আওয়ামী লীগ। জনগণের অধিকার আদায়ে জামায়াতের আন্দোলন ও সংগ্রাম চলবে।’

জানা গেছে, ২০১৩ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর মতিঝিলে পুলিশের অনুমতি নিয়ে সর্বশেষ বিক্ষোভ মিছিল করেছিল জামায়াত। এরপর আর প্রকাশ্যে কর্মসূচি পালনের সুযোগ পায়নি দেশের তৃতীয় বৃহত্তম রাজনৈতিক এই দলটি।

২০১৩ সালের পর যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে দলটির সিনিয়র নেতাদের গ্রেপ্তার করে দণ্ড কার্যকর হয়। নানা দমন-পীড়নের মাধ্যমে দলটিকে একেবারে কোণঠাসা করে ফেলা হয়। রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধনও বাতিল করে নির্বাচন কমিশন।

গ্রেপ্তার ও মামলা-হামলার কারণে রাজধানীর মগবাজারে দলটির কেন্দ্রীয়, পুরানা পল্টনে মহানগর কার্যালয়সহ সারা দেশের দলীয় কার্যালয়গুলো অঘোষিতভাবে বন্ধ রাখে দলটি।

তবে বিভিন্ন সময়ে পুলিশের অনুমতি ছাড়াই রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে অঘোষিতভাবে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করতে দেখা যায় জামায়াতে ইসলামী ও ছাত্রশিবিরকে। সেসব কর্মসূচি থেকে দলটির নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করা হয়।

আগামী জাতীয় নির্বাচনকে ঘিরে সম্প্রতি প্রকাশ্যে রাজনৈতিক কর্মসূচি পালনে তৎপর হয়েছে দলটি। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিসহ নানা ইস্যুতে গত ৫ই জুন রাজধানীর বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর গেটে বিক্ষোভ সমাবেশ ডেকেছিল জামায়াত। কিন্তু ঢাকা মহানগর পুলিশ কর্মসূচির অনুমতি দেয়নি।

মন্তব্য করুন
Rajniti Sangbad


আরও খবর