রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় :১৪ মে, ২০২৩ ৯:০২ : অপরাহ্ণ
ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ বাংলাদেশের উপকূল অতিক্রম করে মিয়ানমারে প্রবেশ করেছে। একইসঙ্গে এটি দুর্বল হয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। মোখা দুর্বল হয়ে যাওয়ায় মহাবিপদ সংকেত নামিয়ে দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আজ রোববার রাতে আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক আজিজুর রহমান বলেন, ‘মোখা’ আমাদের দেশ থেকে পুরোপুরি চলে গেছে। আমাদের ভূখণ্ডে এটার আর কোন অস্তিত্ব নেই।
আরও পড়ুন:‘প্রধানমন্ত্রীর নেক আমলই বাংলাদেশকে মোখা থেকে রক্ষা করেছে’
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ০৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। চট্টগ্রাম ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে ০৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ০৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
এছাড়া, মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ০৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ০৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
তবে সাগর এখনও উত্তাল থাকায় পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সমুদ্রে মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলার না নামিয়ে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: উপকূলে আঘাতের পর ‘দুর্বল’ হয়ে পড়েছে মোখা
অতি প্রবল শক্তি নিয়ে রোববার বিকেলে কক্সবাজার ও মিয়ানমার উপকূলে আঘাত করেছে ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’। এতে কক্সবাজারের টেকনাফ ও সেন্ট মার্টিন দ্বীপে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। উড়ে গেছে বিপুলসংখ্যক ঘরের চালা। উপড়ে গেছে বৈদ্যুতিক খুঁটি ও গাছপালা। ভেঙে পড়েছে ঘরবাড়িসহ অসংখ্য স্থাপনা। ঝড়ের তাণ্ডব থামার পর ফুটে উঠছে ক্ষয়ক্ষতির চিত্র। বিভিন্ন এলাকায় মানুষকে সড়ক থেকে গাছ সরাতে দেখা গেছে।
জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, প্রাথমিকভাবে ১০ হাজার ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানা গেছে। এর মধ্যে টেকনাফের দ্বীপ সেন্ট মার্টিনেই ক্ষতি হয়েছে এক হাজার ২০০ ঘরবাড়ি।
আরও পড়ুন: সেন্টমার্টিনে মোখার তাণ্ডব, লন্ডভন্ড ঘরবাড়ি (ভিডিও)