রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম প্রকাশের সময় :২৭ এপ্রিল, ২০২৩ ৮:৩১ : অপরাহ্ণ
চট্টগ্রাম-৮ আসনের উপনির্বাচনে ভোটের আগে জয়ের ব্যাপারে অনেকটা নিশ্চিত ছিলেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী নোমান আল মাহমুদ। বিএনপিবিহীন এই নির্বাচনে শক্ত কোনো প্রতিদ্বন্দ্বি না থাকায় শেষ পর্যন্ত জিতলেন নৌকার নোমানই। নিরুত্তাপ এই নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী ৬৭ হাজার ২০৫ ভোট পেয়ে ৮ মাসের জন্য সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন তিনি।
আজ বৃহস্পতিবার রাতে নগরীর জিমনেসিয়ামের নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে রিটার্নিং কর্মকর্তা মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান ফল ঘোষণা করেন।
প্রাপ্ত ফলাফলে দেখা যায়, ১৯০টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে ইসলামী ফ্রন্টের মোমবাতি প্রতীকের প্রার্থী স উ ম আব্দুস সামাদ পেয়েছেন ৫ হাজার ৮৭ ভোট, ইসলামিক ফ্রন্টের চেয়ার প্রতীকের প্রার্থী সৈয়দ মুহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন পেয়েছেন ১ হাজার ৮৬০ ভোট, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) আম প্রতীকের প্রার্থী কামাল পাশা পেয়েছেন ৬৭৩ ভোট এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী (একতারা প্রতীক) মীর রমজান আলী ৪৮০ ভোট পেয়েছেন।
নির্বাচনে মোট ভোটার ছিল ৫ লাখ ১৭ হাজার ৬৫২ জন। কিন্তু ভোট পড়েছে ১৪ দশমিক ৫৫ শতাংশ । যা গত উপনির্বাচনের চেয়েও কম। এর আগে এই আসনে ২০২০ সালের ১৩ জানুয়ারির উপনির্বাচনে ভোট পড়েছিল মাত্র ২২ দশমিক ৯৪ শতাংশ।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে রিটার্নিং কর্মকর্তা মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান রাজনীতি সংবাদকে বলেন, ‘এবার ঈদের ছুটিতে অনেকে বাড়িতে গেছেন। রোজার কারণে প্রার্থীরাও ভালোভাবে প্রচারণা চালাতে পারেনি। তাই ভোট কাস্ট কম হয়েছে।’
এর আগে আজ সকাল ৮টায় ভোট গ্রহণ শুরু হয়। চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। উপনির্বাচনটি সম্পূর্ণ ইভিএমে অনুষ্ঠিত হয়।
বেলা ১১টা পর্যন্ত ভোট কেন্দ্রগুলোতে ভোটারের উপস্থিতি একেবারে কম ছিল। অনেক কেন্দ্রে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর এজেন্ট ছাড়া অন্য কোনো প্রার্থীর এজেন্ট দেখা যায়নি। এজেন্টদের অনেককে বারান্দায় ঘোরাঘুরি ও গল্প করে সময় কাটাতে দেখা গেছে।
পুনঃভোটের দাবি ইসলামী ফ্রন্টের
নির্বাচনে কেন্দ্র থেকে এজেন্টদের বের করে দেওয়াসহ নানা অভিযোগ তুলে পুনঃভোটের দাবি জানিয়েছেন ইসলামী ফ্রন্টের প্রার্থী স উ ম আবদুস সামাদ (মোমবাতি)। আজ ভোট শেষে পৃথক সংবাদ সম্মেলন করে তিনি এই দাবি জানান।
স উ ম আবদুস সামাদ অভিযোগ করে বলেন, ‘বুথে একজনের ভোট আরেকজন দিয়েছেন। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ৪০টি কেন্দ্র থেকে আমার এজেন্টদের বের করে দিয়েছে।’
এছাড়া ইসলামিক ফ্রন্টের প্রার্থী সৈয়দ মুহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মীর রমজান আলীও নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন।
উল্লেখ্য, এই আসন থেকে ২০১৮ সালে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) নেতা মইন উদ্দিন খান বাদল সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। কিন্তু তিনি ২০১৯ সালের ৭ নভেম্বর মারা যান। তিনি মারা যাওয়ার পর ২০২০ সালের ১৩ জানুয়ারির উপনির্বাচনে জয়ী হয়েছিলেন মোছলেম উদ্দিন আহমদ। গত ৫ ফেব্রæয়ারি রাজধানীর একটি হাসপাতালে মোছলেম উদ্দিন মারা গেলে আসনটি শূন্য ঘোষণা করা হয়। এ নিয়ে এক মেয়াদে এই আসনে তিনবার ভোট হলো।