রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় :৩০ মার্চ, ২০২৩ ৪:১৩ : অপরাহ্ণ
চলচ্চিত্র ও বিজ্ঞাপন নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী আজ বৃহস্পতিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নিজের ভেরিফাইড পেইজে লিখেছেন, ‘স্বাধীনতাকে প্রশ্ন করতে পারার নামই স্বাধীনতা।’ তার এই পোস্ট মূহুর্তেই ভাইরাল হয়ে যায়।
প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে মধ্যরাতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের, পত্রিকাটির নিজস্ব প্রতিবেদক শামসুজ্জামানকে গভীর রাতে বাসা থেকে তুলে নেওয়া ও পরে একই আইনে মামলা করার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ফারুকী।
তিনি মনে করেন, সমাজে প্রশ্ন করার জায়গা থাকতে হবে। দ্বিমত করার জায়গা থাকতে হবে। যে আইন সাধারণ মানুষের জন্য ক্ষতিকর, সেই আইনের পক্ষে নন তিনি। এ সময় তিনি আরও বলেন, ‘প্রথম আলোর রিপোর্টে ভুলটা কী, আমি এখনো বুঝি নাই।’
আন্তর্জাতিক এই চলচ্চিত্র নির্মাতার ফেসবুক পোস্টটি হুবহু তুলে ধরা হলো।
মোস্তফা সরয়ার ফারুকী লিখেছেন, ‘যে বা যারা প্রথম আলোর সাংবাদিক এবং সম্পাদকের বিরুদ্ধে জিনিসটা মামলা পর্যন্ত নিয়ে গেলেন, জেনে রাখবেন এটা আমাদেরকে আরো অন্ধকারের দিকে নিয়ে গেলো। আমি ঐ খবরটা নিয়ে আলোচনায় আর না যাই। কারন অনেক কথা ইতিমধ্যেই হইছে। শুধু এইটুকু বলি, সংবাদ নিয়ে যে কেউ সংক্ষুব্ধ হইতে পারেন। সেটা ডিল করার অনেক রাস্তাও আছে। সব বাদ দিয়ে যে রাস্তাটা বেছে নেয়া হইলো, এটা দেশের জন্য ভয়ংকর।
আর সরকারের পিআর অ্যাংগেল থেকেও যদি বলি, এই রিঅ্যাকশনের মাধ্যমে “চাইল-ডাইল-মাংসের স্বাধীনতা চাই”- শ্লোগানটার মধ্যে আরো কয়েক হাজার গুন বেশী শক্তি ইনজেক্ট করা হইলো।
আশা করবো শুভ বুদ্ধির উদয় হবে এবং এই অতি উৎসাহের রাশ টেনে ধরা হবে।
এবং আবারও বলছি, ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট বাতিল করেন! আমি সব সময় এই কথাটা বলি, ভাইয়েরা এবং বোনেরা আমার, আইন করার সময় এই জিনিসটা মাথায় রাখবেন যে আইনটা আপনার বিরুদ্ধে প্রয়োগ হলে আপনার অবস্থাটা কি হবে। মানে আপনি যখন ক্ষমতায় থাকবেন না তখন এই আইন আপনার কাছে কিভাবে ফিরে আসবে, এটা মাথায় রেখে যে আইন করা হয় সেটাই তুলনামূলক উত্তম আইন।
কারন মনে রাখবেন “চিরদিন কারো নাহি যায় সমান”! পৃথিবীতে আজীবন থাকে এই রকম কোনো সরকার আসে নাই এখনো।
একটা স্বাস্থ্যকর সমাজে প্রেসের ভুল করার স্বাধীনতা থাকতে হবে যদিও ছবি উলটপালট করা ছাড়া প্রথম আলোর রিপোর্টে ভুলটা কি আমি এখনও বুঝি নাই। রাস্তা ঘাটে মানুষতো বলতেছে, জিনিসপত্রের দাম বাড়াতে তাদের নাভিশ্বাস উঠছে। এমনকি স্বয়ং মন্ত্রীরাও বলছেন, ইউক্রেন যুদ্ধের কারনে দাম বেড়ে গেছে। তো এই কথাটা কেনো এতো কড়া রিঅ্যাকশন ইনভাইট করলো আমি বুঝলাম না।
কিন্তু যদি প্রেস ভুলও করে তার রিঅ্যাকশন এইরকম রিপ্রেসিভ হইতে পারে না। কেনো পারেনা সেটা জানতে গুগল করলে এই বিষয়ে অনেক ক্লাসিক লেখা পেয়ে যাবেন।
যাই হোক শেষ করি একটা কথা দিয়ে। সমাজে প্রশ্ন করার জায়গা থাকতে হবে। দ্বিমত করার জায়গা থাকতে হবে।’