রাজনীতি সংবাদ ডেস্ক প্রকাশের সময় :২৩ জানুয়ারি, ২০২৩ ৮:২৯ : অপরাহ্ণ
বেশ কিছু দিন ধরে আলোচনায় রুশ জাহাজ উরসা মেজর নামধারী ‘স্পার্টা ৩’। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সরঞ্জাম বহনকারী রুশ জাহাজটি গত ২৪ ডিসেম্বর মোংলা বন্দরে আসার কথা ছিল।
কিন্তু মার্কিন নিষেধাজ্ঞায় থাকা জাহাজটি ভিড়তে না পেরে ফেরত যায়।
বাংলাদেশে ভিড়তে না পেরে মার্কিন নিষেধাজ্ঞাভুক্ত ‘স্পার্টা ৩’ জাহাজটি যায় ভারতের পশ্চিমবঙ্গের হলদিয়া বন্দরে। সেখানেও পণ্য খালাসে ব্যর্থ হয়ে স্পার্টা ৩’ এর গন্তব্য এখন চীনের সান্তৌ বন্দর।
জাহাজের অবস্থান শনাক্তের ওয়েবসাইট গ্লোবাল শিপ ট্র্যাকিং ইন্টিলিজেন্স মেরিন ট্রাফিক ওয়েবসাইটের ১৫ জানুয়ারির সর্বশেষ হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, জাহাজটি বর্তমানে বঙ্গপোসাগরের ভারতীয় অংশে রয়েছে।
জাহাজটি রুট পরিবর্তন করে চীনের সিএনএসটিজি (সায়েনথো বন্দরের) দিকে যাচ্ছে। আগামী ৩১ জানুয়ারি জাহাজটির চীনের ওই বন্দরে পৌঁছানোর কথা রয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেনের সঙ্গে আজ সোমবার বিকেলে মন্ত্রণালয়ে বৈঠক করেন ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন।
বৈঠক শেষে চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি আশা করি, কোনো ধরনের নিষেধাজ্ঞা সাধারণ আইনসিদ্ধ সহযোগিতায় প্রভাব ফেলতে পারবে না। এ জাহাজটি নিষেধাজ্ঞার আওতায় আসা উচিৎ ছিল না। নিষেধাজ্ঞাটি বহুপক্ষীয় নয়। জাতিসংঘেরও নয়।’
‘উরসা মেজর’ নামের রাশিয়ার পতাকাবাহী জাহাজেটি রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের মালামাল নিয়ে গত ২৪ ডিসেম্বর মোংলা বন্দরে পৌঁছানোর কথা ছিল।
তার আগেই ২০ ডিসেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে বাংলাদেশকে জানানো হয়, ওই জাহাজটি ‘উরসা মেজর’ নয়। এটি মার্কিন নিষেধাজ্ঞার তালিকায় থাকা ‘স্পার্টা ৩’ জাহাজ।
রঙ ও নাম বদল করে মার্কিন নিষেধাজ্ঞায় থাকা জাহাজটি রূপপুরের পণ্য নিয়ে বাংলাদেশে আসছে। জাহাজটির আন্তর্জাতিক সামুদ্রিক সংস্থার (আইএমও) সনদ নম্বর ৯৫৩৮৮৯২। যা ‘স্পার্টা ৩’-এর সনদ নম্বর।
বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে জাহাজটিকে মোংলা বন্দরে ভিড়তে নিষেধ করে দেয় বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন: রূপপুরের সরঞ্জাম নিয়ে ভারতের বন্দরেও ভিড়তে পারেনি সেই রুশ জাহাজ
বাংলাদেশে ভিড়তে না পেরে জানুয়ারিতে জাহাজটি ভারতের হলদিয়া বন্দরে পণ্য খালাসের চেষ্টা চালিয়েছিল। ভারতে সরঞ্জাম খালাস করে বাংলাদেশে নিয়ে আসার পরিকল্পনাও করা হয়েছিল।
তবে মার্কিন চাপে জাহাজটিকে ভারতেও পণ্য খালাস করতে দেওয়া হয়নি। এর ফলে জাহাজটি ভারত ছাড়তে বাধ্য হয়।
গতকাল রোববার দুপুরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন বলেছেন, রাশিয়া যে মার্কিন নিষেধাজ্ঞায় থাকা জাহাজ পাঠাবে, তা বাংলাদেশ আশা করেনি। রাশিয়া জেনেশুনে জাহাজের নাম পরিবর্তন করে পাঠিয়েছে। আমরা এটা আশা করিনি। আমরা নিষেধাজ্ঞার কবলে থাকা জাহাজ গ্রহণ করতে চাই না। আমাদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের ভালো সম্পর্ক তৈরি হয়েছে।
আরও পড়ুন: রাশিয়া জেনেশুনে নিষেধাজ্ঞায় থাকা জাহাজ পাঠিয়েছে, তাজ্জব পররাষ্ট্রমন্ত্রী