রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় :৯ জানুয়ারি, ২০২৩ ৬:১৭ : অপরাহ্ণ
কারাগার থেকে বের হয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, অন্যায়, অত্যাচার ও জুলুম করে আমাদের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলন দমানো যাবে না।
আজ সোমবার সন্ধ্যায় এক মাস পর কেরানীগঞ্জে ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে বের হয়ে সাংবাদিকদের তিনি একথা বলেন।
কারামুক্ত হওয়ার পর দেশের জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন বিএনপি মহাসচিব।
মির্জা ফখরুল হুঁশিয়ার করে বলেন, অবিলম্বে সকল নেতাকর্মীদের মুক্তি দিতে হবে। নইলে এ সরকারকে চরম মূল্য দিতে হবে।
এ সময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, এ সরকার আমাদের জীবন থেকে একটি মাস কেড়ে নিয়ে গেছে। আমাদের নেতাকর্মীদের থেকে আলাদা করে রেখেছিল।
তিনি বলেন, এখনো অনেক নেতাকর্মী কারাগারে আছেন। অবিলম্বে তাদের মুুক্তি দিতে হবে।
গতকাল রোববার সকালে প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ হাইকোর্টের দেয়া ৬ মাসের জামিন আদেশ বহাল রাখলে বিএনপির এই দুই শীর্ষ নেতার মুক্তির পথ খুলে যায়।
আজ সোমবার সন্ধ্যায় কেরানীগঞ্জে ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে তারা মুক্ত হন।
এর আগে পুলিশের ওপর হামলার পরিকল্পনা ও উসকানির অভিযোগে পল্টন থানায় করা মামলায় মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসকে গত ৩ জানুয়ারি ছয় মাসের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেন হাইকোর্ট।
একই সঙ্গে কেন তাদের স্থায়ী জামিন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়েও রুল জারি করেন আদালত।
পরে ৪ জানুয়ারি সকালে তাদের জামিন স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ।
সেই আবেদনের শুনানি নিয়ে চেম্বার আদালত জামিন স্থগিত করে আজ রোববার শুনানির দিন ধার্য করেন।
উল্লেখ্য গত ৭ ডিসেম্বর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে এক বিএনপি কর্মী গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়। আহত হন অনেকে।
এসময় বিএনপি কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে চাল-ডাল, পানি, নগদ টাকা ও বিস্ফোরক দ্রব্য পাওয়া যায় বলে দাবি করে পুলিশ।
এ ঘটনায় পরদিন পল্টন থানার একটি মামলা হয়। মামলায় ৪৭৩ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত দেড় থেকে দুই হাজার বিএনপির নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়।
এ মামলায় মির্জা ফখরুল, মির্জা আব্বাসসহ বিএনপির শীর্ষ নেতাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
এরপর ৯ ডিসেম্বর ভোররাত ৩টার দিকে ডিবি পুলিশ মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসকে তাদের বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায়।
এর পরদিন পল্টন থানায় করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাদের আদালতে তোলা হয়। আদালত তাদের জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।