রাজনীতি সংবাদ ডেস্ক প্রকাশের সময় :৩ জানুয়ারি, ২০২৩ ৭:১১ : অপরাহ্ণ
বছরের প্রথম দিনে ৬০তম সন্তানের বাবা হলেন পাকিস্তানের বেলুচিস্তানের রাজধানী কোয়েটার বাসিন্দা সরদার জান মুহাম্মদ খান। এর মধ্যে পাঁচটি সন্তান মারা গেছে, বাকি সবাই সুস্থভাবে বেঁচে আছে।
তবে এখনই থামছেন না জান মুহাম্মদ। ‘আল্লাহ চাইলে’ তিনি আরও সন্তানের বাবা হতে চান।
আর এ জন্য তিন স্ত্রী থাকতেও চতুর্থবার বিয়ের পরিকল্পনা করেছেন তিনি।
গণমাধ্যম পাকিস্তান টুডে জানিয়েছে, ৫০ বছর বয়সী সরদার জান মুহাম্মদ থাকেন কোয়েটা শহরের ইস্টার্ন বাইপাস এলাকায়। তিনি খালজি গোত্রের সদস্য এবং পেশায় চিকিৎসক। ওই এলাকায় তার একটি ক্লিনিক আছে। তিনি তার ৬০তম সন্তানের নাম রেখেছেন খুশাল খান।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জান মুহাম্মদের কাছে জানতে চেয়েছিল, এতোজন সন্তানের নাম তার মনে থাকে কী না। এর জবাবে তিনি বলেছেন, ‘কেন নয়?’
উল্লেখ্য, ২০৫০ সালের মধ্যে পৃথিবীর মোট জনসংখ্যা বৃদ্ধির পেছনে ভূমিকা রাখবে যে আট দেশ, পাকিস্তান তার মধ্যে অন্যতম।
পাকিস্তানের নাগরিক সরদার জান মুহাম্মদ খান জানান, তিনি চতুর্থ বিয়ে করতে চান এবং সে জন্য পাত্রী খুঁজছেন।
তিনি বলেন, ‘সবাইকে বলে রেখেছি, আমার জন্য পাত্রী খুঁজতে। বয়স হয়ে যাচ্ছে, তাড়াতাড়ি বিয়ে করতে চাই।’
জান মুহাম্মদের দাবি, তিনি একাই যে আরও সন্তান চান বিষয়টি তেমন নয়। তার স্ত্রীরাও আরও সন্তান নিতে আগ্রহী।
তবে সন্তানদের সব সময় খুশি রাখার চেষ্টা করেন সরদার জান মুহাম্মদ। এ জন্য তিনি কখনো কারো কাছে হাত পাতেননি। কঠোর পরিশ্রম করছেন এবং সব সন্তানকে লেখাপড়া করাচ্ছেন।
জান মুহাম্মদের সন্তানদের মধ্যে পুত্রের চেয়ে কন্যার সংখ্যা বেশি। কয়েকজন সন্তানের বয়স ২০ বছরের বেশি, তবে তাদের কারোই এখনো বিয়ে হয়নি।
সরদার জান মুহাম্মাদ খান জানিয়েছেন, তার কোন বড় ব্যবসা নেই, একমাত্র ক্লিনিকের আয় দিয়েই তাকে সব খরচ সামলাতে হয়।
সন্তানদের নিয়ে আগে তেমন কোন সমস্যা না হলেও, গত তিন বছরে পাকিস্তানে ব্যাপক মূল্যস্ফীতির কারণে সংসারের খরচ নিয়ে তিনি বেশ ঝামেলার মধ্যে পড়েছেন।
জান মুহাম্মাদ খান বলেন, তিনি বেড়াতে পছন্দ করেন, এবং সন্তানদের নিয়ে পাকিস্তানের বিভিন্ন জায়গায় বেড়াতে যেতে চান। বাচ্চারা যখন ছোট ছিল, তখন তাদের নিয়ে কোনো গাড়িতে চেপে কোথাও ঘুরে আসা কঠিন ছিল না। কিন্তু এখন একটি গাড়িতে সেটা আর সম্ভব হয় না।
তিনি দাবি করেন, সরকার যদি তার সন্তানদের জন্য পরিবহনের ভাড়া কমিয়ে দেয়ার ব্যবস্থা করতো, তাহলে তারা সহজেই পুরো পাকিস্তানে ভ্রমণ করতে পারতো।
বেলুচিস্তানে বহু সন্তানের জনক হিসেবে দ্বিতীয় কোনো উদাহরণ সরদার জান মুহাম্মাদ খান।
এর আগে আব্দুল মাজিদ মেঙ্গাল নামে বেলুচিস্তানের এক ব্যক্তি ছয়টি বিয়ে করেছিলেন, এবং ৫৪টি সন্তান জন্ম দিয়ে খবরের শিরোনাম হয়েছিলেন।
আব্দুল মাজিদ মেঙ্গাল গত মাসে ৭৫ বছর বয়সে মারা গেছেন। তার জীবদ্দশায় তার দুইজন স্ত্রী এবং ১২টি সন্তান মারা যায়।