রাজনীতি সংবাদ ডেস্ক প্রকাশের সময় :১৭ ডিসেম্বর, ২০২২ ১১:০৭ : অপরাহ্ণ
ফ্রান্সের কাছে হেরে বিশ্বকাপের ফাইনালে ওঠার স্বপ্ন ভেস্তে গেছে আগেই। চমক দেওয়া মরক্কোর সামনে সুযোগ ছিল, বিশ্বকাপের তৃতীয় সেরা দল হওয়ার।
কিন্তু ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষেও পেরে উঠল না আফ্রিকান দলটি। মরক্কোকে হারিয়ে কাতার বিশ্বকাপের তৃতীয় দল হয়েছে লুকা মদ্রিচের দল।
আজ শনিবার বিশ্বকাপের তৃতীয়স্থান নির্ধারণী ম্যাচে মরক্কোকে ২-১ গোলে হারিয়েছে গেলবারের রানার্সআপরা। জয়ের ম্যাচে গোল করেছেন জসরো গ্যাবার্ডিওল ও মিরস্লাভ অরসিচ।
আফ্রিকান প্রথম দল হিসেবে সেমিফাইনালে উঠে ইতিহাস গড়েছিল মরক্কো। সেই সেমিফাইনাল নিয়েই সন্তুষ্ট থাকল মরক্কো। চতুর্থ হয়ে শেষ হলো আশরাফ হাকিমিদের বিশ্বকাপ যাত্রা।
খলিফা আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে আজ মুখোমুখি হয় ক্রোয়েশিয়া ও মরক্কো। সেমিফাইনালে আর্জেন্টিনার কাছে ক্রোয়েশিয়া এবং ফ্রান্সের কাছে হারা মরক্কো এদিন নামে জয় দিয়ে বিশ্বকাপ শেষ করার মিশনে। সেই লক্ষ্যে সফল ক্রোয়াটরা।
সেমিফাইনালে প্রতিপক্ষের জালে বল পাঠাতে ব্যর্থ দুই দলই আজ গোল পেয়ে যায় ম্যাচের শুরুতেই। এদিন ম্যাচের সপ্তম মিনিটেই গোলের দেখা পায় ক্রোয়েশিয়া। ডিফেন্ডার জসরো গ্যাবার্ডিওলের গোলে এগিয়ে যায় ক্রোয়াটরা।
এই গোলের মধ্য দিয়ে বিশ্বকাপে ক্রোয়েশিয়ার সর্বকনিষ্ঠ গোলদাতা হলেন গ্যাবার্ডিওল। ২০ বছর ৩২৮ দিন বয়সে গোল করে পেছনে ফেললেন ২০০২ বিশ্বকাপে ২২ বছর ২৬৭ দিন বয়সে ইতালির বিপক্ষে গোল করা ইভিকা ওলিচকে।
গোল দিয়ে এগিয়ে থাকার আনন্দে বেশিক্ষণ থাকতে পারেনি ক্রোয়াটরা। ৯ মিনিটেই গোল শোধ করেন মরক্কান ডিফেন্ডার আশ্রাফ দাড়ি। রক্ষণভাগের এই সৈনিকের গোলে খেলায় ফেরে চলতি বিশ্বকাপের বিস্ময় মরক্কো।
এরপর ২৯ মিনিটে ডানপ্রান্ত থেকে আশ্রাফ হাকিমি আক্রমণের যোগান দিলেও ফিনিশিংয়ের অভাবে গোল পায়নি আফ্রিকান দলটি।
গোল দিয়ে মরক্কো সমতা ফেরানোর পর বেশ কয়েকটি আক্রমণ করে ক্রোয়েশিয়া। কিন্তু কখনও মরক্কান গোলরক্ষক বনোর সেইণ, কখনও নিজেদের ভুলে গোল পাওয়া হচ্ছিলো না গত বিশ্বকাপের ফাইনালিস্টদের। কিন্তু ম্যাচের ৪১ মিনিটে দুর্দান্ত এক গোল করে দলকে এগিয়ে নেন মিডফিল্ডার মিরস্লাভ অরসিচ। ফলে ২-১ গোলের লিড নিয়ে বিরতিতে যায় ক্রোয়াটরা।
বিরতি থেকে ফিরে রক্ষণে জোর দেয় ক্রোয়েশিয়া। ফলে বেশ কয়েক দফা আক্রমণ করেও আর ম্যাচে ফিরতে পারেনি মরক্কো। হার দিয়েই শেষ করতে হয় মরক্কোকে। জয়ের পাশাপাশি বল দখল ও আক্রমণ দুটোতেই এগিয়ে থেকে জয় তুলে নেয় লুকা মদ্রিচের ক্রোয়েশিয়া।