রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় :১ ডিসেম্বর, ২০২২ ৪:১৬ : অপরাহ্ণ
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে উদ্দেশ করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘ফখরুল সাহেবের মুখে মধু, অন্তরে বিষ। অন্তরে বিষ ছাড়া আর কিছু আছে? ফখরুল সাহেব, অনুমতি চেয়েছেন, অনুমতি দিয়েছে। আপনাদের মিটিংয়ে কেউ ডিস্টার্ব (বিরক্ত) করবে না। আমরা রাজশাহীতেও বলে দিয়েছি, পরিবহন ধর্মঘট যেন না করে। ঢাকাতেও পরিবহন ধর্মঘট হবে না, নেত্রী বলে দিয়েছেন। ঠিক আছে? খেলা হবে।’
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে গোপালগঞ্জ শহরের পৌর পার্কে আয়োজিত জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনের উদ্বোধনী বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ছাত্রলীগের সম্মেলন ৮ ডিসেম্বর থেকে ৬ তারিখে এসেছে। শুধু বিএনপির সমাবেশ করার স্বার্থে শেখ হাসিনা এটা করেছেন। মুক্তিযুদ্ধের ঘোষণাস্থল, মুক্তিবাহিনী, মিত্রবাহিনীর কাছে যেখানে পাকিস্তানিরা আত্মসমর্পণ করেছিল, সেই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে উনারা স্বাচ্ছন্দ বোধ করছেন না। বিএনপি মহাসচিব বলেছেন, আমরা স্বাচ্ছন্দ বোধ করি না- মুক্তিযুদ্ধকে আসলে স্বাচ্ছন্দ বোধ করেন না। মুক্তিযুদ্ধের নাম শুনলে এদের অন্তরে জ্বালা, মুখে বলে না।’
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘হাওয়া ভবনের বিরুদ্ধে খেলা হবে। হাওয়া ভবনের আরেক নাম খাওয়া ভবন। তারেক রহমান ওয়ান ইলেভেন সরকারের কাছে মুচলেকা দিয়ে রাজনীতি থেকে বিদায় নেওয়ার অঙ্গীকার করেছেন। তিনি রাজনীতি করবেন না বলে লন্ডনে পাড়ি জমিয়েছেন। তিনি সিঙ্গাপুরসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে অর্থ পাচার করেছেন। হওয়া ভবন থেকে কত টাকা পাচার হয়েছে তার হিসাব হচ্ছে, সব ফেরত আনা হবে।’
মির্জা ফখরুলকে উদ্দেশ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ফখরুল সাহেব এখন নাটক শুরু করেছেন। সমাবেশ দিয়ে সাত দিন আগে থেকে নাটক শুরু করে। বলে সরকার বাধা দিচ্ছে। অথচ তারা সাত দিন আগে থেকে হান্ডি-পাতিল, মশার কয়েল আর বস্তা ভরে টাকা নিয়ে সেখানে যায়।’
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বিএনপিকে আবারও বলতে চাই, পরবর্তী নির্বাচনে আসুন। ফখরুল সরকারকে সেফ এক্সিট নিতে বলেছেন। আমি বলতে চাই, নিরাপদ প্রস্থানের একমাত্র পথ নির্বাচন। নির্বাচনেই প্রমাণ হবে কারা বিজয়ী হবে আর কাদের পতন হবে। সরকার পতনের হাঁক-ডাক দিয়ে কোনো লাভ নেই।’
দেশের পরিস্থিতি সম্পর্কে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘যুদ্ধ, নিষেধাজ্ঞার জন্য আজকে আমরা একটু বিপদে আছি। মানুষ কষ্টে আছে। অভাবি মানুষ, সাধারণ মানুষ, স্বল্প আয়ের মানুষ কষ্টে আছে। এটা শেখ হাসিনা নিজেই স্বীকার করেন। চেষ্টা করছেন তিনি। এখনো বাংলাদেশে সোমালিয়া-সুদানের মতো দুর্ভিক্ষ হয়নি। এখনো আমরা অনেক দেশের তুলনায় ভালো আছি। শেখ হাসিনা ভালো থাকলে বাংলাদেশ ভালো থাকবে।’
সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম।
সম্মেলনের দ্বিতীয় পর্বে মাহাববু আলী খানকে সভাপতি ও জিএম সিহাবউদ্দিন আজমকে সাধারণ সম্পাদক করে গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের পূর্নাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়।