রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় :১১ নভেম্বর, ২০২২ ৫:৩১ : অপরাহ্ণ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘যারা বলেছিল দেশ শ্রীলঙ্কা হবে তাদের মুখে ছাই পড়েছে। রিজার্ভ দেশের জনগণের কাজে লাগাচ্ছি, দেশের টাকা দেশেই রয়েছে।’
আজ শুক্রবার যুবলীগের ৫০ বছর পূর্তি ও সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত মহাসমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী বিএনপি নেতাদের প্রতি ইঙ্গিত করে বলেন, ‘এইট পাস দিয়ে, মেট্রিক ফেল দিয়ে দেশ চললে উন্নয়ন হয় না। আমরা ক্ষমতায় আসার আগে সরকারে ছিল বিএনপি। ২ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলার রিজার্ভ ছিল বিএনপির সময়। আমরা ৪৮ বিলিয়ন পর্যন্ত নিয়েছিলাম। কোভিড টিকা কিনেছি, বিনিয়োগ করেছি, বিমান কিনেছি, পায়রা বন্দর নিজস্ব অর্থায়নে করেছি। এভাবে রিজার্ভ থেকে খরচ হয়েছে। ঘরের টাকা ঘরে থাকছে। দেশের জনগণের উন্নয়নে এই টাকা ব্যবহার করছি। আমাদের এই অগ্রযাত্রা কেউ রুখতে পারবে না।’
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে উদ্দেশ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘তাদের (বিএনপি) এক নেতা (খালেদা জিয়া) এতিমের টাকা আত্মসাৎ মামলায় সাজাপ্রাপ্ত। আরেক নেতা (তারেক রহমান) মানি লন্ডারিং, গ্রেনেড হামলা ও দশ ট্রাক অস্ত্র পাচার মামলায় সাজাপ্রাপ্ত।’
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘যাদের নেতা অর্থপাচার মামলায় সাজাপ্রাপ্ত তাদের মুখে আওয়ামী লীগের সমালোচনা মানায় না। আমাদের অনেক সমালোচনা করছে অনেকে। তারা নাকি উন্নয়ন চোখে দেখে না। এই যে মোবাইল ফোন, ইন্টারনেট এগুলো কে করেছে?’
যুবলীগের ৫০ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অর্থাৎ সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে সকল যুবলীগ নেতা-কর্মীকে অভিনন্দন জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালে ১১ নভেম্বর যুবলীগ প্রতিষ্ঠা করেন। জাতির পিতার নির্দেশে যে যুবলীগকে পরিচালনা করেছিলেন সেই শেখ মণিকে ১৫ আগস্ট নির্মমভাবে হত্যা করা হয়।’
যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিলের সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, ১৪ দলের সমন্বয়ক আমির হোসেন আমু, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এবং যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ।
এর আগে দুপুর আড়াইটার দিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সমাবেশস্থলে আসেন। এরপর বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে এবং জাতীয় সংগীতের সঙ্গে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে সমাবেশের উদ্বোধন করেন। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ ও সাধারণ সম্পাদক মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিল। এরপর শেখ হাসিনা মঞ্চে আসন গ্রহণ করেন।
তারপর সংক্ষিপ্ত সাংস্কৃতিক পরিবেশনা শেষে শুরু হয় সভা।
এদিন সকাল থেকেই খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে নেতা-কর্মীরা সমাবেশস্থলে আসতে শুরু করেন। যুবলীগের মহাসমাবেশে ঢাকার বাইরে থেকেও প্রচুর নেতা-কর্মী যোগ দিতে ঢাকায় এসেছেন। সমাবেশে যোগ দিতে গভীর রাত থেকেই বাস, মাইক্রোবাস ও পিকআপে করে নেতাকর্মীরা ঢাকায় আসা শুরু করেন।
সমাবেশ ঘিরে উদ্যানকে বর্ণাঢ্য সাজে সজ্জিত করা হয়। নির্মাণ করা হয়েছে দৃষ্টিনন্দন সুবিশাল প্যান্ডেল। এছাড়া, পুরো ঢাকা শহরের প্রধান প্রধান সড়কের পাশে জাতীয় পতাকার পাশাপাশি যুবলীগের পতাকা দিয়েও সাজানো হয়।