রবিবার, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪ | ১৫ বৈশাখ, ১৪৩১ | ১৮ শাওয়াল, ১৪৪৫

মূলপাতা আইন-আদালত

এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক এরতেজা রিমান্ডে


রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় :২ নভেম্বর, ২০২২ ৪:২৪ : অপরাহ্ণ
আজ দুপুরে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নেওয়া হয় কাজী এরতেজা হাসানকে। ছবি: সংগৃহীত
Rajnitisangbad Facebook Page

ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) পরিচালক ও দৈনিক ভোরের পাতার সম্পাদক কাজী এরতেজা হাসানকে ১ দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছেন আদালত।

রাজধানীর জালিয়াতি ও প্রতারণার মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া কাজী এরতেজাকে আজ বুধবার দুপুর সোয়া দুটার দিকে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মোশাররফ হোসেনের আদালতে তোলা হয়।

এরপর তার বিরুদ্ধে মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) এএসআই মো. মেহেদী হাসান দুই দিনের রিমান্ড আবেদন করেন।

এ সময় আসামিপক্ষ থেকে রিমান্ডের বিরোধিতা করে জামিন চাওয়া হয়।

উভয়পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক আসামির ১ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

রিমান্ড আবেদনে তদন্ত কর্মকর্তা উল্লেখ করেন, আসামি (এরতেজা) সরকারি বিভিন্ন অফিস বিশেষ করে সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ব্যবহার করে জাল দলিল তৈরি করেন। তাকে ব্যাপকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তার সহযোগী অন্য আসামিদের নাম ঠিকানা সংগ্রহের মাধ্যমে গ্রেপ্তার করা যাবে। এছাড়া আসামিকে এরতেজাকে নিবিড়ভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করে তার সঙ্গে বাড্ডা সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী জড়িত কি না, তা শনাক্ত করা যাবে।

রিমান্ড আবেদনে আরো উল্লেখ করা হয়, মামলায় উল্লেখিত জাল জালিয়াতির মাধ্যমে সৃজনকৃত দলিলে ‘কে স্বাক্ষর করেছেন’ উক্ত ব্যক্তিকে শনাক্তসহ গ্রেপ্তার করা যাবে। সর্বোপরি মামলাটি তদন্তাধীন। এ মামলার ঘটনার মূল রহস্য উদ্ঘাটন করার লক্ষ্যে আসামিকে পুলিশ রিমান্ডে পাওয়া একান্ত প্রয়োজন।

পিবিআই জানিয়েছে, আশিয়ান গ্রুপের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলামের ভাই সাইফুল ইসলাম গত ১০ জানুয়ারি জালিয়াতি ও প্রতারণার একটি মামলাটি করেন। খিলক্ষেত থানার এ মামলায় আসামিদের মধ্যে আছেন নর্দান ইউনিভার্সিটির চেয়ারম্যান আবু ইউসুফ আব্দুল্লাহ, রিয়াজুল আলম ও সেলিম মুন্সী। তদন্তের একপর্যায়ে এরতেজার নাম আসে।

মামলার এজাহারে বলা হয়, ২০১৩ সালে নর্দার্ন ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাসের জন্য দক্ষিণখান এলাকার আশিয়ান সিটির পাঁচ বিঘা জমি কিনতে এজাহারনামীয় আসামি আবু ইউসুফ আব্দুল্লাহ, রিয়াজুল আলম ও সেলিম মুন্সীর উপস্থিতিতে স্ট্যাম্পে চুক্তি সই হয়। চুক্তিতে জমির দাম ৫০ কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়। চুক্তিতে আবু ইউসুফ আব্দুল্লাহ ক্রেতা এবং বাকি দুজন সাক্ষী হিসেবে সই করেন।

চুক্তি মোতাবেক আট মাসের মধ্যে সব টাকা পরিশোধের কথা থাকলেও ৩০ কোটি টাকা দেওয়া হয়। বাকি ২০ কোটি টাকা পরিশোধ না করে আসামিরা আত্মসাৎ করেন।

আশিয়ান গ্রুপের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলামের জাল সই দিয়ে দলিল করেন যে, তারা সম্পূর্ণ টাকা পরিশোধ করেছেন। জাল দলিলে জমির দাম ৯ কোটি ৩৩ লাখ টাকা উল্লেখ করা হয়।

উল্লেখ্য, কাজী এরতেজা হাসান আওয়ামী লীগের সাতক্ষীরা জেলার সহসভাপতি। এ ছাড়া তিনি আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্যবিষয়ক উপকমিটির সদস্য।

মন্তব্য করুন
Rajnitisangbad Youtube


আরও খবর