সোমবার, ২০ মে, ২০২৪ | ৬ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ | ১১ জিলকদ, ১৪৪৫

মূলপাতা খেলা

শেষ ওভারের রোমাঞ্চে বাংলাদেশকে হারালো পাকিস্তান


রাজনীতি সংবাদ ডেস্ক প্রকাশের সময় :১৩ অক্টোবর, ২০২২ ১১:৪১ : পূর্বাহ্ণ
Rajnitisangbad Facebook Page

রিজওয়ানকে ফিরিয়ে ম্যাচে উত্তেজনা ছড়িয়েছিলেন সৌম্য সরকার। তবে শেষ পর্যন্ত সে উত্তেজনা বজায় থাকেনি। শেষ ওভারের পঞ্চম বলে সাইফউদ্দিনকে চার মেরে এক বল হাতে রেখেই জয় নিশ্চিত করেন মোহাম্মদ নওয়াজ।

হার দিয়ে ত্রিদেশীয় সিরিজ শুরু করে শেষটাও হার দিয়ে শেষ করেছে বাংলাদেশ।

পাকিস্তানের বিপক্ষে নিয়মরক্ষার শেষ ম্যাচে ৭ উইকেটে হেরেছে সাকিব আল হাসানের দল। এতে শূন্য হাতেই টাইগারদের যেতে হচ্ছে বিশ্বকাপের মঞ্চে।

আজ বৃহস্পতিবার ত্রিদেশীয় ক্রাইস্টচার্চে পাকিস্তানের বিপক্ষে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে স্কোরবোর্ডে ১৭৩ রান তুলেছে বাংলাদেশ। জবাব দিতে নেমে এক বল হাতে রেখে ৩ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে গেছে পাকিস্তান।

বাংলাদেশের ইনিংসের শুরু থেকেই নড়বড়ে ছিলেন শান্ত। প্রথম রানের জন্য খেলেন ৯ বল। বেশিক্ষণ টিকতেও পারেননি তিনি। ষষ্ঠ ওভারে ওয়াসিমের বলে উইকেটকিপার রিজওয়ানকে ক্যাচ দেন নাজমুল। ১৫ বলে ১২ রানে ফিরেন এই ওপেনার।

এর আগে দলকে হতাশ করে ৪ রান করে ফেরেন আরেক ওপেনার সৌম্য সরকার।

তৃতীয় উইকেট জুটিতে দলনেতা সাকিবকে নিয়ে দুর্দান্ত ব্যাট করেন ওপেনার লিটন। এ সময় দুজন মিলে মাত্র ৫৫ বলে গড়েন ৮৮ রানের জুটি। তাতেই বড় সংগ্রহের ভিত পেয়ে যায় দল।

ব্যক্তিগত অর্ধশতক পূরণের পর ৬৯ রানে আউট হয়েছেন লিটন। মাত্র ৪২ বলে খেলা তার এই ইনিংসটি ছয়টি চার ও দুটি ছয়ে সাজানো।

লিটনের দেখানো পথে হাঁটেন অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। আগের ম্যাচ নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে করেছিলেন ৭০ রান। আজ পাকিস্তানের বিপক্ষেও তুললেন টানা আরেকটি ফিফটি। আন্তর্জাতিক টি২০তে সাকিবের ক্যারিয়ারে এটি ১২তম ফিফটি।

শেষ ওভারের রোমাঞ্চে বাংলাদেশকে হারালো পাকিস্তান

শেষ দিকে দ্রুত রান তোলার চেষ্টায় সাকিব ফিরেন ৬৮ রান করে। ৩ ছক্কা ও ৭ চারে সাজানো ছিল সাকিবের এই ইনিংস।

সাকিব ফেরার পর শেষ দিকে আফিফ হোসেন করেন ১১রান। তার সঙ্গে নুরুল হাসান সোহান করেন ২ রান।

রান তাড়া করতে নেমে শুরুতে তাসকিন-হাসানের আঁটসাঁট বোলিংয়ে কিছুটা চাপে ছিল পাকিস্তান। তবে সময় যেতেই আগ্রাসী হয়ে উঠেন পাক দুই ওপেনার।

উদ্বোধনী জুটিতেই শতরান তোলে পাকিস্তান। টাইগার বোলাররাদের পাত্তাই দেয়নি সময়ের সেরা এই দুই ব্যাটার।

জমে ওঠা এই জুটি শেষ পর্যন্ত ভাঙেন মাহমুদুল হাসান। এক ওভারে জোড়া উইকেট তুলে নিয়ে বাংলাদেশকে খেলায় ফেরান হাসান।

প্রথমে আউট করেন ৫৫ রান করা বাবরকে। এরপর বিদায় করেন হায়দার আলিকে।

তৃতীয় উইকেটে রিজওয়ান-নওয়াজের গড়া মাত্র ৩৬ বলে ৬৪ রানের জুটিতে জয়ের ভিত তৈরি হয়ে যায়।

ফিফটি পূরণের পর রিজওয়ান আউট হন ৬৯ রানে। ৫৬ বলে খেলা তার ইনিংসটি চারটি চারে সাজানো। পরে আসিফ আলিকে নিয়ে জয় নিশ্চিত করেন মোহাম্মদ নওয়াজ।

বাংলাদেশি বোলারদের তুলোধুনো করে ২০ বলে ৫ বাউন্ডারি ও এক ছক্কায় ৪৫ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন নওয়াজ।

বাংলাদেশের হয়ে ৪ ওভারে ২৭ রান দিতে দুটি উইকেট শিকার করেছেন পেসার হাসান মাহমুদ। এক ওভারে ৬ রান দিয়ে একটি উইকেট পেয়েছেন সৌম্য সরকার। সবচেয়ে খরুচে বোলার হয়েছেন সাইফউদ্দিন। ৩.৫ ওভারে ৫৩ রান দিয়ে কোনো উইকেট পাননি এ অলরাউন্ডার।

মন্তব্য করুন
Rajnitisangbad Youtube


আরও খবর