ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে হামলা চালানোর পর গণঅধিকার পরিষদের ২৪ নেতার বিরুদ্ধে দুটি মামলা করেছেন ছাত্রলীগের দুই নেতা।
ছাত্রলীগ নেতার দায়ের করা মামলায় আজ শনিবার দুপুরে শুনানি শেষে আটক ২৪ নেতাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শহিদুল ইসলাম।
এর আগে সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি আকতার হোসেনসহ ২৪ নেতাকে আদালতে হাজির করা হয়।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন-ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্র অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আকরাম হোসেন, মো. সাদ্দাম হোসেন, মো. তসলিম হোসাইন অভি, আব্দুল কাদের, মো. তরিকুল ইসলাম, মামুনুর রশিদ, নাজমুল হাসান, রাকিব, আরিফুল ইসলাম, আসিফ মাহমুদ, তাওহীদুল ইসলাম তুহিন, এইচএম রুবেল হোসেন, ইউসুফ হোসেন, মিজান উদ্দিন, বেলাল হোসেন, ওমর ফারুক জিহাদ, আবু কাউছার, জাহিদ আহসান, মোয়াজ্জেম হোসেন রনি, সানাউল্লাহ, শাহ ওয়ালিউল্লাহ, মো. রাকিব, সাজ্জাদ হোসেন পারভেজ।
এদিকে গ্রেপ্তারকৃত নেতা-কর্মীদের মুক্তির দাবিতে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সামনে অবস্থান নেন গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর। এসময় তার সঙ্গে দলের শতাধিক নেতা-কর্মীও অবস্থান নিয়েছেন।
আজ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর পল্টন এলাকার জামান টাওয়ারে গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে মিছিল নিয়ে গুলিস্তান, রায়সাহেব বাজার এলাকায় হয়ে চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টের সামনে এসে অবস্থান নেন তারা।
এসময় নুরুল হক নুর বলেন, আমার ভাইদের মুক্তি দেন, না হলে আমরাও স্বেচ্ছায় কারাবরণ করতে এসেছি। আমাদেরও নিয়ে যান।
আরও পড়ুন: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আবরারের স্মরণসভায় ছাত্রলীগের হামলা
উল্লেখ্য, গতকাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের ডাকা স্মরণসভা কর্মসূচিতে হামলা চালায় ছাত্রলীগ। এতে ছাত্র অধিকার পরিষদের অন্তত ১০ নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন।
পরে আহত নেতা-কর্মীদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে সেখানেও আরেকদফা হামলা চালায় ছাত্রলীগ। সন্ধ্যায় হাসপাতাল থেকে আহত ১০ নেতাসহ ২৪ জনকে আটক করে পুলিশ।
এদিকে আবরার ফাহাদের স্মরণসভায় ছাত্রলীগের হামলা ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারামারির পর আজ ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতা-কর্মীদের নামে দুটি মামলা করেছেন ছাত্রলীগের দুই নেতা।