আওয়ামী লীগ খুব সজাগ ও সতর্ক রয়েছে জানিয়ে দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বিএনপিকে উদ্দেশ করে বলেছেন, ‘আমরা জানি কোথায় কে কী করছেন। বিদেশিদের দরবারে কোথায় কোথায় বৈঠক হচ্ছে। এবার চোখ-কান খোলা রেখেছি, শেখ হাসিনাকে টার্গেট করে পার পাবেন না।’
আজ মঙ্গলবার সচিবালয় প্রাঙ্গণে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা ও কর্মচারী ঐক্য পরিষদ এ সভার আয়োজন করে।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে উদ্দেশ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘মুচলেকা দিয়ে আর রাজনীতি করবো না বলে কোন কাপুরুষটা বিদেশ চলে গিয়েছিল? সে হলো আপনার প্রধান নেতা। মুচলেকা দিয়ে বলেছিলেন-আর রাজনীতি করবেন না, এখন বিদেশে বসে টেমস নদীর পাশে বসে কলকাঠি নাড়েন।’
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘‘ফখরুল সাহেবকে সেখান থেকে ফরমায়েশ দেন এবং তিনি এখান থেকে কথা বলেন। ‘টেক ব্যাক’ বাংলাদেশ, ওখান থেকে স্লোগান দেয়। ওখান থেকে বলে ‘টেক ব্যাক’ এখান থেকে বলে বাংলাদেশ। ‘টেক ব্যাক’ কারা করবে বিএনপি? আবারো ’৭৫ ও ২১ আগস্ট ঘটানোর জন্য? আবারো দুর্নীতির হাওয়া ভবন করার জন্য?’’
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি নেতারা বা মির্জা ফখরুল বলেন-শেখ হাসিনা এত চক্রান্তের কথা কেন বলেন, ষড়যন্ত্রের কথা কেন বলেন? কারণ আগস্ট মাস এলে ষড়যন্ত্রকারীরা বিচলিত হয়, ষড়যন্ত্রের ঝাঁপি খুলে যায়। ২১ আগস্ট এলে ষড়যন্ত্রকারীদের মুখচ্ছবি ভেসে ওঠে। ২০ বার তাকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। তিনি ষড়যন্ত্রের কথা বলবেন না? ২১ আগস্ট ব্যর্থ হয়েছেন, এখনো ষড়যন্ত্র আছে আমরা জানি।’
নির্বাচন হলে শেখ হাসিনাকে পরাজিত করা সম্ভব নয় জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘নির্বাচন হলে শেখ হাসিনাকে পরাজিত করা সম্ভব নয়। তিনি বিপুল ভোটে আবারো বিজয়ী হবেন। কাজেই তাকে সরাতে হলে হত্যার বিকল্প তো নেই। সে কারণেই তাকে হত্যাচেষ্টার ষড়যন্ত্র চলছে।’
বিএনপি নেতাদের উদ্দেশে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘সারা দুনিয়ার ছবি চোখে পড়ে না, শুধু বাংলাদেশেই জিনিসপত্রের দাম বাড়ে, তেলের দাম বাড়ে জ্বালানির দাম বাড়ে? কোথায় বাড়েনি বলুন? জিনিসপত্রের দাম কোথায় বাড়েনি। লন্ডনে হুট করে মুদ্রাস্ফীতি এখন ১০ দশমিক ১। পাকিস্তান শ্রীলঙ্কার কথা নাই বললাম, সেখানে লাগামহীনভাবে দ্রব্যমূল্য বাড়ছে।’