রাজনীতি সংবাদ ডেস্ক প্রকাশের সময় :২ আগস্ট, ২০২২ ৮:৪৯ : অপরাহ্ণ
২০১৫ সালের ২ নভেম্বর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) দুপক্ষের সংঘর্ষের সময় রামদায় শাণ দিতে দেখা যায় ছাত্রলীগের দুই কর্মীকে। এ ঘটনায় তখন দুজনকে এক বছরের জন্য বহিষ্কারও করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। কিন্তু ৭ বছর পর কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ বিতর্কিত এই দুই কর্মীকে পুরস্কৃত করেছে সহ-সভাপতির পদ দিয়ে।
দুজন হলেন-মোফাজ্জল হায়দার ইবনে হোসাইন মোফা ও মিজানুর রহমান খান শ্রাবণ। তারা দুজনই ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন টিপুর অনুসারী হিসেবে ক্যাম্পাসে পরিচিত।
নতুন কমিটির সহসভাপতি করা হয়েছে ভার্সিটি এক্সপ্রেসের ছাত্রলীগ নেতা প্রদীপ চক্রবর্তীকে। তার বিরুদ্ধেও রয়েছে খুনের মামলা। ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে চবি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষে সংস্কৃত বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র তাপস সরকার নিহত হন।
গত বছরের ২১ অক্টোবর ফেসবুকে পোস্ট দেওয়া নিয়ে সংঘর্ষে জড়ায় চবি ছাত্রলীগের প্রধান দুটি গ্রুপ সিক্সটি নাইন ও সিএফসি। এই সংঘর্ষের ঘটনায় দুই গ্রুপের ১২ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিস্কার করা হয়। বহিস্কৃতদের মধ্যে সিক্সটি নাইনের ছয়জন এবং সিএফসির ছয়জন কর্মী রয়েছেন। কমিটিতে তাদের বেশিরভাগই পেয়েছেন গুরুত্বপূর্ণ পদ।
ইতিহাস বিভাগের স্নাতকোত্তরের জুনায়েদ হোসেন বহিস্কার হয়েছেন দুবার। তিনি পেয়েছেন মুক্তিযুদ্ধ ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদকের পদ। এক বছরের জন্য বহিস্কৃত মির্জা কবির সাদাফের শেষ হয়নি বহিস্কারের সময়ও। তিনি পেয়েছেন সহসভাপতির পদ।
আরেক বহিস্কৃত আরিফুল ইসলাম আছেন সাংগঠনিক সম্পাদকের পদে। বহিস্কৃত শিক্ষার্থী খালেদ মাসুদও পেয়েছেন সহসম্পাদকের পদ। ছয় মাসের জন্য বহিস্কৃত আকিব জাভেদ পেয়েছেন উপ-গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদকের পদ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের বগিভিত্তিক বিজয় গ্রুপের নেতা মো. ইলিয়াস নতুন কমিটিতে পেয়েছেন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের পদ। অথচ তার বিরুদ্ধে ইয়াবা ব্যবসার অভিযোগ করেছেন পদবঞ্চিত নেতাকর্মীরা।
কমিটিতে স্থান পেয়েছেন হল দখল ও মারামারিতে যুক্ত থাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের অন্যতম ১১ নেতাও। তাদের মধ্যে আছেন সভাপতি রেজাউল হক রুবেল, সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন টিপু, বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক রাকিবুল হাসান দিনার, সংগঠনের সাবেক সহসভাপতি নাছির উদ্দিন সুমন, সাবেক সদস্য সাইদুল ইসলাম, বাংলার মুখের নেতা ও সাবেক পাঠাগার সম্পাদক আবু বকর, শামসুজ্জামান সম্রাট প্রমুখ।
চবি শাখা ছাত্রলীগের রাজনীতি দীর্ঘদিন ধরে দুটি পক্ষে বিভক্ত। একটি পক্ষে আছেন সাবেক মেয়র এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর ছেলে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীর অনুসারীরা। আরেকটি পক্ষে আছেন সাবেক সিটি মেয়র ও চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারীরা।