প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, ‘আমাদের হাতে যদি স্বরাষ্ট্র, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় চলে আসে তাহলে সাংবিধানিক সঙ্কট তৈরি হবে। এটা সরকার সংবিধান ও আইন সংশোধন করে দিলেই আমরা আইনত সেগুলো নিতে পারবো। আর তা না হলে দিতে চাইলে আমরা নিতে পারবো কিনা তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। কেননা নির্বাচন কমিশন কোনো মন্ত্রণালয় নয়।’
আজ সোমবার নির্বাচন ভবনে ওয়াকার্স পার্টির সঙ্গে সংলাপে তিনি এ মন্তব্য করেন।
এর আগে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির তরফ থেকে নির্বাচনের তিন মাস আগে থেকে তিন মাস পর পর্যন্ত সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য স্বরাষ্ট্র ও জনপ্রশাসন স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের হাতে ন্যস্ত করতে বলেন। এর জবাবে এমন মন্তব্য করেন সিইসি।
ওয়াকার্স পার্টির অভিযোগের ভিত্তিতে কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘অন্য কোনো দেশ নির্বাচনকে সামনে রেখে আমাদেরকে বা কোনো দলকে সমর্থন বা ধমক দেবে এটা আমি বিশ্বাস করি না। আর কোনো দলকে বিদেশি কোন শক্তি সহায়তা,পরামর্শ দিচ্ছেন তা আমি মনে করি না।’
সিইসি বলেন, ‘আইনে আমাদের বেশ ক্ষমতা দেয়া আছে অতীতে বোধ হয় তার সম্পূর্ণ প্রয়োগ হয়তো হয়নি। আমরা চেষ্টা করবো আমাদের ক্ষমতার পূর্ণ প্রয়োগের।’
কাজী হাবিবুল আউয়াল প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘আপনারা বলছেন ভোটে ২০ লাখ খরচ হয়, আমার কিন্তু মনে হয় মাঠে ২০ কোটিরও বেশি অনেকে খরচ করে থাকে। এটার নিয়ন্ত্রণ কিভাবে করবেন?’