কেউই অপরিহার্য নয়-এই বার্তা দিয়ে শেষ পর্যন্ত পদত্যাগ করলেন বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। তিন বছরেরও কম সময় ক্ষমতায় থাকার পর কিছুক্ষণ আগে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।
তবে মন্ত্রী ও এমপিদের সমর্থন হারালেও এখনই প্রধানমন্ত্রীত্ব ছাড়ছেন না জনসন।
ডাউনিং স্ট্রিট থেকে এই ঘোষণা দিয়ে জনসন গত নির্বাচনে যে লাখ লাখ মানুষ কনজার্ভেটিভ পার্টিকে ভোট দিয়েছেন তাদেরকে ধন্যবাদ জানান। এতো দীর্ঘ সময় ক্ষমতার জন্য লড়াই করার কারণ ব্যাখ্যা করেন তিনি।
এই গ্রীষ্মেই কনজারভেটিভ পার্টির নতুন নেতা নির্বাচন করা হবে বলে জানিয়েছে বিবিসি। আর আগামী অক্টোবরে পার্টির সম্মেলনে নতুন প্রধানমন্ত্রীর বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে। মাঝখানের এই পুরোটা সময় প্রধানমন্ত্রী হিসেবেই দায়িত্ব পালন করবেন জনসন।
এর আগে তার সরকারের কয়েক ডজন মন্ত্রী, এমপি ও উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা পদত্যাগ করার পর ব্যাপক চাপে পড়েন তিনি।
জনসনের মন্ত্রিসভার সিনিয়র সদস্যরাই তাকে পদত্যাগের আহ্বান জানিয়েছিলেন। সবশেষ নতুন নিয়োগ পাওয়া অর্থমন্ত্রী নাদিম জাহাউয়িও জনসনকে পদত্যাগের আহ্বান জানান।
সাম্প্রতিক সময়ে একের পর এক বিতর্কে জড়িয়েছেন বরিস ও তার সরকার। করোনা লকডাউন চলাকালে সরকারি বাসভবন ডাউনিং স্ট্রিটে একাধিক মদের আসর বসিয়ে তিনি সমালোচনার জন্ম দেন। গত মাসে তার বিরুদ্ধে দলীয় আস্থাভোট আনা হলেও তাতে পার পেয়ে যান বরিস।