তিন দিনের ব্যবধানে আবারও কমেছে টাকার মান। টাকার বিপরীতে মার্কিন ডলারের দাম বেড়েছে ১ টাকা ৬০ পয়সা। প্রতি ডলারের বিনিময় মূল্য দাঁড়িয়েছে ৯১ টাকা ৫০ পয়সা। আগে যা ছিল ৮৯ টাকা ৯০ পয়সা।
আজ সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংক এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
চাহিদা সংকটে ঊর্ধ্বমুখী ডলারের দামের অস্থিরতা কমাতে বেশ কিছু দিন থেকেই টাকার মান অবমূল্যায়ন করা হচ্ছে। এ নিয়ে ষষ্ঠ দফায় ডলারের দাম বাড়ানো হলো।
গত বৃহস্পতিবার এক দফা টাকার মান কমানো হয়। তখন জানানো হয়েছিল, ডলারের বিপরীতে টাকার মান আরও ৯০ পয়সা কমেছে। এতে প্রতি মার্কিন ডলারের বিনিময় হার হয় ৮৯ টাকা ৯০ পয়সা।
এর আগে গত ২৯ মে সন্ধ্যায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির প্রতি ডলারের দাম ৮৯ টাকা নির্ধারণের সিদ্ধান্ত জানান।
বাংলাদেশ ব্যাংক আজ থেকে ৯১ টাকা ৫০ পয়সা দরে ব্যাংকগুলোর কাছে ডলার বিক্রি করবে। সরকারি আমদানি বিল মেটাতে ব্যাংকগুলোর কাছে এ ডলার বিক্রি করা হয়। ফলে, এটাই ডলারের আনুষ্ঠানিক দর।
তবে ব্যাংকগুলো আমদানিকারকদের কাছে প্রতি ডলারের জন্য ৯৫ টাকার বেশি দাম নিচ্ছে। আর প্রবাসী আয় আনছে ৯৩ থেকে ৯৪ টাকা দরে।
টাকার মান কমে যাওয়ার প্রেক্ষিতে অর্থনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, টাকার মান আরেক দফা অবমূল্যায়নের ফলে আমদানির খরচ আরও বাড়বে। অন্যদিকে লাভবান হবেন রপ্তানিকারকরা।
সাধারণত রপ্তানিকারকদের সুবিধা দিতেই স্থানীয় মুদ্রার অবমূল্যায়ন করা হয়। তবে এখন বাংলাদেশকে এই পথে যেতে হচ্ছে বাধ্য হয়ে।
আমদানি পণ্যের দাম ও জাহাজভাড়া বেড়ে যাওয়ায় ইতোমধ্যে আমদানি ব্যয় প্রায় ৪৪ শতাংশ বেড়েছে। রপ্তানি ও প্রবাসী আয় দিয়ে সেই খরচ মেটানো সম্ভব নয়। এর ফলে সৃষ্টি হয়েছে ডলার সংকট।
সংকট নিরসনে রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি করা শুরু করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এতেই ডলারের দাম ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে।