দেশে হঠাৎ চালের বাজার অস্থির হয়ে উঠেছে। ভরা মৌসুমেও বেড়েছে চালের দাম। যা নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়েছে সর্বত্র।
এই পরিস্থিতিতে চালের দাম কেন বাড়ছে, এর পেছনে কারও কোন কারসাজি আছে কিনা তা খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে সংশ্লিষ্টদের এ নির্দেশ দেয়া হয়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠক শেষে বিকেল সাড়ে ৩টায় সচিবালয়ে ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এ তথ্য জানান।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, ‘চাল ও তেল নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। মার্কেট সার্ভে করে দ্রুত অ্যাকশনে যেতে বলা হয়েছে। তেলের মতো চাল ইস্যুতেও অভিযান চালানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। মজুদ করলে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’
আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘এই ভরা মৌসুমে চালের দাম কেন বেশি? গোয়েন্দা প্রতিবেদন এবং কিছু সাজেশন ছিলো, এগুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।’
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘কেন চালের দাম বাড়বে? তাই কোথায় কে চাল মজুদ করে এবং আমাদের কিছু ইনফরমেশন আছে যে, আমি যে ইন্ডাস্ট্রিটা করব বা যে প্রোডাকশনে যাব, আমার তো মেমোরেন্ডাম অব অ্যাসোসিয়েশন আছে। মেমোরেন্ডাম অব অ্যাসোসিয়েশনে তো বলা আছে, আমি কী করতে পারব।’
আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের মনে হচ্ছে, এমন হতে পারে, কেউ কেউ হয়ত মেমোরেন্ডাম অব অ্যাসোসিয়েশন ভেঙে চালের ব্যবসায় নেমে গেছে। এজন্য বাজারকে শক্তভাবে মনিটর ও সুপারভিশন করে যদি কেউ এভাবে গিয়ে থাকে…আবার ধরেন বড় একটা কোম্পানি, যার হাজার হাজার কোটি টাকা আছে, আমি মার্কেটের নেমে এসে ধান ও চাল কিনে ফেললাম, মজুদ করলাম। এগুলো আমি কতদিন রাখতে পারব?’
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘কিছুদিন আগে ভোজ্যতেলের সংকট তৈরি হলে অভিযান চালিয়ে উদ্ধার করা হয়েছে। আশংকা করা হচ্ছে, একইভাবে চালের মজুদ হতে পারে। এ কারণে বাণিজ্যমন্ত্রী ও খাদ্যমন্ত্রী, বাণিজ্য সচিব, খাদ্য সচিব ও কৃষিসচিবকে বৈঠক করে এ বিষয়ে পর্যালোচনা করে করণীয় ঠিক করবেন। প্রয়োজনীয় চালের অবৈধ মজুদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করা হবে। মজুদদারির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’