রাজনীতি সংবাদ ডেস্ক প্রকাশের সময় :১৬ মে, ২০২২ ৫:৪৫ : অপরাহ্ণ
চট্টগ্রাম টেস্টের দ্বিতীয় দিনের পুরো আড়াই সেশন দাপট দেখিয়েছেন লঙ্কান তারকা অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুজ। লম্বা ইনিংসে শ্রীলঙ্কাকে এনে দিয়েছেন বড় পুঁজি।
তবে দিনের শেষ সেশনে ব্যাট করতে নেমে খারাপ করেনি বাংলাদেশও। ওপেনিংয়ে নেমে বাংলাদেশকে আলো দেখালেন তামিম ইকবাল ও মাহমুদুল হাসান জয়।
তাদের দারুণ জুটিতে কোনো উইকেট না হারিয়েই দিন শেষ করেছে মুমিনুল হকের দল।
আজ সোমবার জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে শেষ সেশনে প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে বিনা উইকেটে স্কোরবোর্ডে ১৯ ওভারে ৭৬ রান তুলেছে বাংলাদেশ।
৫২ বল মোকাবেলা করে ৩৫ রানে অপরাজিত আছেন তামিম। আরেক অপরাজিত তরুণ ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয় ৬৬ বলে ৩১ রান করেছেন। দুজনই পাঁচটি করে চার হাঁকিয়েছেন।
শ্রীলঙ্কার চেয়ে ৩২১ রানে পিছিয়ে থেকে আগামীকাল মঙ্গলবার টেস্টের তৃতীয় দিন শুরু করবে বাংলাদেশ।
এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ইনিংসে স্কোরবোর্ডে ৩৯৭ রান তুলেছে শ্রীলঙ্কা।
দলের পক্ষে সর্বোচ্চ রান করা ম্যাথুজ খেলেছেন ১৯৯ রানের ইনিংস। ৩৯৭ বলে তার ইনিংসটি সাজানো ছিল ১৯টি বাউন্ডারি ও একটি ছক্কা দিয়ে।
৪ উইকেটে ২৫৮ রান নিয়ে আজ দ্বিতীয় দিন শুরু করে শ্রীলঙ্কা। গতকাল দিন শেষে উইকেটে থাকা দুই ব্যাটার ম্যাথুজ ও দিনেশ চান্দিমাল মিলে আজ লঙ্কানদের দারুণ শুরু এনে দেন।
এই জুটি মিলে বাংলাদেশকে ভোগান লম্বা সময়। শেষ পর্যন্ত প্রথম সেশনের শেষ দিকে এই জুটি ভাঙেন নাঈম হাসান।
চান্দিমালকে নিজের তৃতীয় শিকার বানিয়ে শক্ত জুটি ভাঙেন নাঈম। ৬৬ রানে চান্দিমালকে এলবির ফাঁদে ফেলেন এই স্পিনার। একই ওভারেই উইকেটে আসা নিরোসান ডিকভেলাকেও নিজের শিকার বানান নাঈম। প্রথম সেশনে এই দুটি উইকেটই নিতে পারে বাংলাদেশ।
দ্বিতীয় সেশনের শুরুতেই জোড়া আঘাত হানেন সাকিব। এক ওভারে তুলে নেন দুই উইকেট। প্রথমে বোল্ড করে ফেরান রমেশ মেন্ডিসকে। এরপর লাসিথ এম্বুলদেনিয়াকে এলবিডব্লিউ করে ফেরালেন বাঁহাতি এই স্পিনার।
কিন্তু জোড়া উইকেট নিয়ে চাপ তৈরি করতে পারলেও উইকেটে জমে যাওয়া ম্যাথুজের প্রতিরোধ ভাঙতে পারেনি বাংলাদেশ। গতকাল সেঞ্চুরি করা ম্যাথুজ আজ দ্বিতীয় সেশনেই ২৯৩ বলে পেয়ে যান দেড়শ রানের দেখা।
তবে শেষ পর্যন্ত আক্ষেপ নিয়ে উইকেট ছাড়েন তিনি। আর এক রানের জন্য ডাবল সেঞ্চুরি হলো না তার। ঠিক ১৯৯ রানের ঘরে ম্যাথুজের প্রতিরোধ ভাঙেন নাঈম হাসান।
বাংলাদেশের হয়ে বল হাতে ১০৫ রান দিয়ে সর্বোচ্চ ছয়টি উইকেট নিয়েছেন নাঈম হাসান। ৬০ রানের বিনিময়ে তিনটি নিয়েছেন সাকিব আল হাসান। তাইজুল নিয়েছেন এক উইকেট।