নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম প্রকাশের সময় :১৫ এপ্রিল, ২০২২ ৯:১৬ : অপরাহ্ণ
খালে পড়ে কাদায় ডুবে যেতে যেতে হাত নাড়ছিলেন বৃদ্ধা। তার হাত নাড়া দেখেই স্থানীয় এক ব্যক্তি জাতীয় পরিষেবা ৯৯৯-এ ফোন দেন। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা খালের কাদায় গলা পর্যন্ত ডুবে থাকা ওই বৃদ্ধাকে উদ্ধার করেন।
আজ শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে চট্টগ্রাম নগরীর চান্দগাঁও থানার ইব্রাহিম ম্যাচ ফ্যাক্টরি সংলগ্ন বালুরটাল এলাকার খাল থেকে ৬৫ বছর বয়সী ওই বৃদ্ধাকে উদ্ধার করা হয়।
চট্টগ্রাম নগরীর বালুরটালে খালের পানিতে গলা পর্যন্ত ডুবে থাকা নাম-ঠিকানা বলতে না পারা এক বৃদ্ধাকে (৬৫) উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস। তিনি হাসপাতালেও ভর্তি হতে চাননি বলে জানিয়েছেন উদ্ধারকর্মীরা।
উদ্ধারের পর তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
কালুরঘাট ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের সিনিয়র কর্মকর্তা মো. বাহার উদ্দিন সংবাদমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি জানান, খালটি কালো পানি ও কাদায় ভর্তি। বৃদ্ধার মাথা ও হাত শুধু খালের ময়লা পানি ও আবর্জনার উপরে ছিল। তিনি খাল থেকে তোলার জন্য চিৎকার বা কোনো শব্দ করেননি। শুধু হাত নেড়েছেন। তিনি কি খালে পড়ে গেছেন নাকি নিজেই নেমে গিয়েছিলেন তা কেউ বলতে পারছে না। উদ্ধারের পর ওই বৃদ্ধাকে গোসল করানো হয়।
ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা বাহার উদ্দিন বলেন, উদ্ধারের পর বারবার জিজ্ঞেস করলেও ওই নারী নিজের নাম-ঠিকানা বলেননি। তবে হাসপাতালে ভর্তি করার সময় বলেছেন- ‘আমি ভর্তি হবো না। আমাকে ছেড়ে দাও।’ এর বাইরে আর কিছুই তিনি বলেননি। তার আচরণে মনে হচ্ছে, তিনি মানসিক ভারসাম্যহীন। হয়তো দীর্ঘদিন কোথাও আবদ্ধ ছিলেন। সকালে ছাড়া পেয়ে ওই খালে চলে যান।
উল্লেখ্য, গত বছরের ২৫ আগস্ট মুরাদপুর এলাকায় চশমা খালে ভারী বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতার মধ্যে পড়ে তলিয়ে যান সালেহ আহমদ নামের এক সবজি ব্যবসায়ী। এরপর আর তার খোঁজ মেলেনি।
এর আগে ৩০ জুন ষোলোশহরের চশমা হিল এলাকার খালে পড়ে একটি অটোরিকশার চালক সুলতান (৩৫) ও যাত্রী খাদিজা বেগম (৬৫) মারা যান।
সর্বশেষ ২৮ সেপ্টেম্বর রাতে নগরীর আগ্রাবাদে নাছিরছড়া খালে পড়ে তলিয়ে যান বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী সাদিয়া। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা পাঁচ ঘণ্টার চেষ্টায় কয়েক টন আবর্জনার স্তূপ সরিয়ে তার লাশ উদ্ধার করেন।
২০১৮ সালের ৯ জুন নগরীর আমিন জুট মিল এলাকায় নালায় পড়ে মারা যায় আল আমীন নামে ৭ বছরের এক শিশু।