প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘জনগণের ক্ষমতা জনগণের হাতে ফেরত দিয়েছে আওয়ামী লীগই। গণতন্ত্র জনগণের হাতে আমরা ফিরে দিয়েছি। যে গণতন্ত্র ক্যান্টনমেন্টে বন্দি ছিল, জিয়ার পকেটে ছিল বা এরশাদের পকেটে ছিল এবং খালেদা জিয়ার ব্যাগে ছিল, সেটাকে আমরা জনগণের হাতে ফিরিয়ে দিয়েছি।’
আজ রোববার মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগের আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউর আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এই আলোচনা সভায় গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন তিনি।
স্বৈরশাসকদের কবল থেকে আওয়ামী লীগ গণতন্ত্র ফিরিয়ে এনেছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘‘আমার ভোট আমি দেবো, যাকে খুশি তাকে দেবো’- এই স্লোগান তো আওয়ামী লীগের, আমরা দিয়েছি। জনগণের ভোটের অধিকার রক্ষার জন্য স্লোগান দিয়েই সংগ্রাম করে, আজ গণতন্ত্র ফিরিয়ে এনেছে আওয়ামী লীগ।’’
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘এখন কাদের মুখে গণতন্ত্রের ছবক শুনতে হয় সেটাই বড় কথা। যাদের জন্ম হয়েছে অগণতান্ত্রিকভাবে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলের মধ্য দিয়ে, তারাই এখন গণতন্ত্রের কথা বলেন! আর এই অবৈধ সরকার উচ্চ আদালত থেকেই নির্দেশ দিয়েছে। জিয়াউর রহমান ও এরশাদের ক্ষমতা দখল ছিল অবৈধ। কারণ তারা সংবিধান লংঘন করে, এমনিক সামরিক আইন ভঙ্গ করে নিজেদের রাষ্ট্রপতি ঘোষণা দিয়ে তারপরে আবার সেই হ্যাঁ-না ভোট! এরপর আবার রাষ্ট্রপতি নির্বাচন তারপর আবার দল গঠন, পরে রাজনীতিতে অবতরণ করা-এভাবেই তাদের জন্ম।’
সরকারের উন্নয়ন যারা দেখে না তাদের চোখের চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার পরামর্শ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘অনেকে আছে দেশের কোনো উন্নতি দেখে না। তাদের চোখে কোনো উন্নয়নই নাকি দেশে হয়নি। তাদের যদি চোখ খারাপ থাকে আমার কিছু বলার নেই। এখন বলতে হয়, আমরা তো একটি আই ইনস্টিটিউট করে দিয়েছি। যারা বক্তৃতা দেয় উন্নয়ন হয় না, চোখে দেখে না আমার মনে হয় তাদের চোখ একটু পরীক্ষা করা দরকার। তাহলে হয়তো দেখতে পারে উন্নয়ন হয়েছে কী না?’
বিএনপির সমালোচনা করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘তাদের একটা গুণ আছে তারা মিথ্যা কথাটা ভালোভাবে বলতে পারে। সেই ভাঙা স্যুটকেস ছেঁড়া গেঞ্জি থেকে কোকো লঞ্চ ১, ২, ৩, ৪ বের হলো। তারপর ডান্ডি ডাইং বের হলো, কত কিছু বের হলো। তারা দুর্নীতি করে দেশের অর্থ বিদেশে পাচার করেছে, খালেদা জিয়ার ছেলেদের সেই পাচার করা অর্থের কিছুটা আমরা দেশে ফেরতও এনেছি। কাজেই এরা দুর্নীতির কথাই বা বলে কি করে বা ভোটের কথাই বা বলে কি করে আর উন্নয়ন চোখে পড়েই না বা কি করে।’
বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ প্রান্তে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, আন্তর্জাতিক সম্পাদক শাম্মী আহমেদ, শিল্প ও বাণিজ্য সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমান, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ উত্তরের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান এবং মহানগর দক্ষিণের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী। গণভবন প্রান্তে সভা পরিচালনা করেন দলের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ।