শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪ | ৮ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২০ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬

মূলপাতা আন্তর্জাতিক

হাসির উপর নিষেধাজ্ঞা, যাওয়া যাবে না দোকানেও!



রাজনীতি সংবাদ ডেস্ক প্রকাশের সময় :১৭ ডিসেম্বর, ২০২১ ৮:০৫ : অপরাহ্ণ

১১ দিনের জন্য নাগরিকদের হাসির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে উত্তর কোরিয়া।

ভারতীয় গণমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে, উত্তর কোরিয়ার প্রাক্তন শাসক কিম জং ইলের দশম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে হাসার উপর নিষেধাজ্ঞা ছাড়াও বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।

আজ শুক্রবার থেকে এবার ১১ দিনের শোক শুরু হয়েছে দেশটিতে। যদিও অন্যান্য বছর ১০ দিনব্যাপী শোক পালন করা হতো।

উত্তর কোরিয়ার বর্তমান শাসক কিম জং উনের বাবা কিম জং ইল ১৯৯৪ থেকে ২০১১ পর্যন্ত দেশটি শাসন করেন।

৬৯ বছর বয়সে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ২০১১ সালের ১৭ ডিসেম্বর মৃত্যু হয় তার।

রেডিও ফ্রি এশিয়া নিশ্চিত করেছে, দেশটির সীমান্তবর্তী এলাকা সিনুইজুর একজন নাগরিক তাদের জানিয়েছেন, টানা ১১ দিনের শোক চলাকালীন হাসা যাবে না। মদ্যপানও করা যাবে না। নিত্যপণ্য কেনা যাবে না। ছুটি কাটানো বা উৎসবে মেতে ওঠা যাবে না।

এই নিয়ম লঙ্ঘন করলে কড়া শাস্তি পেতে হয় নাগরিকদের। প্রতিবছরই এ ঘটনা ঘটে বলে জানান ওই নাগরিক।

শোক চলাকালীন নিষেধাজ্ঞা ভঙ্গকারী নাগরিকদের গ্রেপ্তার করা হয় এবং তাদের ‘আদর্শ অপরাধী’ হিসেবে গণ্য করা হয়।

আরও পড়ুন: হিন্দুদের বাধার মুখে জুমার নামাজ পড়তে পারছেন না মুসলিমরা, ভারতে উত্তেজনা

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই নাগরিক জানান, গ্রেপ্তারকৃত ওই নাগরিকরা আর কখনো ফিরে আসেন না।

ওই নাগরিক আরও জানান, ১১ দিনের এই শোক চলাকালীন যদি আপনার পরিবারের কেউ মারাও যান, তাহলেও আপনি চিৎকার করে কাঁদতে পারবেন না, শোক দিবসগুলো শেষ হলে তবেই আপনার স্বজনের মৃতদেহ আপনি বাইরে আনার অনুমতি পাবেন। শোক চলাকালীন যাদের জন্মদিন থাকে, তারা তা উদযাপন করতে পারেন না।

এদিকে, দক্ষিণ কোরিয়ার (কে-পপ) গান ও ভিডিও দেখার অপরাধে সাত জন নাগরিককে উত্তর কোরিয়া মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে বলে জানা গেছে। ওই সাত নাগরিকের বিরুদ্ধে কে-পপ গান ও ভিডিও বিক্রিরও অভিযোগ আনা হয়।

এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউ ইয়র্ক পোস্ট।

দক্ষিণ কোরিয়া ভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থার ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দক্ষিণ কোরিয়ার জনপ্রিয় পপগান ‘কে-পপ’-এর ভিডিও দেখা এবং অন্যদের সঙ্গে শেয়ার করার ‘অপরাধে’ গত এক দশকে কমপক্ষে সাত জনকে মৃত্যুদণ্ড দেন উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উন। এদের মধ্যে কেবল হেসান প্রদেশে ছয় জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের ঘটনা ঘটে। কখনও এসব মৃত্যুদণ্ড প্রকাশ্যেই দেওয়া হয়েছে।

রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, ২০১৫ সাল থেকে অন্তত ৬৮৩ জন কিম-বিরোধী উত্তর কোরিয়ানের সঙ্গে এ নিয়ে তারা কথা বলেছে।

জানা গেছে, কিমের প্রথম পাঁচ বছরের শাসনকালে বিভিন্ন কারণে ৩৪০ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। যদিও মৃত্যুদণ্ড নিয়ে দেশটির সরকারের পক্ষ থেকে কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

গত জুনে এক প্রতিবেদনে বলা হয়, দক্ষিণ কোরিয়ার জনপ্রিয় সংগীত কে-পপ গান শোনার জন্য নাগরিকদের শাস্তি দেওয়া হয়। এমনকি গোপনে কে-পপ বিরোধী অভিযান চালায় কিম সরকার।

আরও পড়ুন: ৪২ কোটি টাকার মুকুট মাথায়, আরও যেসব সুবিধা পাচ্ছেন বিশ্বসুন্দরী হারনাজ

মন্তব্য করুন
Rajniti Sangbad


আরও খবর