প্রতিনিধি, নরসিংদী প্রকাশের সময় :১৩ ডিসেম্বর, ২০২১ ১০:১৫ : পূর্বাহ্ণ
নরসিংদী সদর উপজেলায় পারিবারিক কলহের জের ধরে ফখরুল মিয়া নামের এক ব্যক্তি তার স্ত্রী ও শিশু সন্তানকে গলা কেটে হত্যা করেছেন।
গতকাল রোববার দিবাগত রাত ৩টার দিকে উপজেলার চিনিশপুর ইউনিয়নের ঘোড়াদিয়ার সংগীতা এলাকায় এ হত্যাকাণ্ড ঘটে।
এ ঘটনায় ফখরুল ইসলামকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে এলাকাবাসী।
নিহতরা হলন-রেশমী আক্তার (২৬) ও তার দেড় বছরের শিশু সন্তান সালমান সাফায়াত।
রেশমী পৌর শহরের দত্তপাড়া এলাকার পারভেজ মিয়ার মেয়ে।
স্বজনেরা বলছেন, দুবছর আগে পারিবারিকভাবে পৌর শহরের দত্তপাড়া এলাকার রেশমী আক্তারের সঙ্গে ঘোড়াদিয়ার সংগীতা এলাকার মো. সাইফুল্লার ছেলে ফখরুলের বিয়ে হয়।
বিয়ের কয়েক মাস পর থেকে স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন রেশমীর ওপর শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন চালাতে শুরু করেন।
এর মধ্যেই তাদের পরিবারে এক ছেলে সন্তানের জন্ম হয়। এরপরও রেশমীর ওপর নির্যাতন চালায় শ্বশুরবাড়ির লোকজন।
এর মধ্যে গতকাল রোববার দিবাগত রাত ৩টার দিকে রেশমী ও শিশু সন্তান সালমানকে গলা কেটে হত্যা করা হয়।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ দুটি উদ্ধারের পর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
নিহত রেশমীর বাবা পারভেজ মিয়া অভিযোগ করে বলেন, ‘বিয়ের পর থেকে আমার মেয়েকে মানসিক ও শারীরিকভাবে নির্যাতন করা হতো। আমরা কষ্ট পাবো ভেবে আমার মেয়ে আমাদের কিছুই বলতো না। রেশমীর স্বামী ফখরুল মাদকাসক্ত ছিল। কিন্তু আমরা জানতাম না। এসব তথ্য আমাদের কাছ থেকে গোপন রেখে বিয়ে দিয়েছিল ফখরুলের পরিবার। এখন আমি আমার মেয়ে ও নাতি হত্যার বিচার চাই।’
নরসিংদী মডেল থানার ওসি সওগাতুল আলম জানান, অভিযুক্ত ফখরুলকে আটক করা হয়েছে। ফখরুল দাবি করছেন, স্ত্রীর পরকিয়ার কারণে তিনি ক্ষুব্ধ ছিলেন।
আরও পড়ুন: চুপিচুপি বিমানবন্দর ছাড়লেন মুরাদ হাসান