রাজনীতি সংবাদ ডেস্ক প্রকাশের সময় :৭ ডিসেম্বর, ২০২১ ৪:২৫ : অপরাহ্ণ
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ‘কুরুচিপূর্ণ’ মন্তব্য এবং চিত্রনায়িকার সঙ্গে অশ্লীল ফোনালাপ ফাঁসের পর তথ্য প্রতিমন্ত্রীর পদ থেকে সদ্য পদত্যাগ করা ডা. মো. মুরাদ হাসানের কর্মকাণ্ডের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী জানতেন না বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে সচিবালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘গত গত কয়েক মাসে তার (মুরাদ হাসান) আচরণে পরিবর্তন দেখেছি। তার সাম্প্রতিক কিছু মন্তব্য দলের সঙ্গে আলোচনা না করেই তিনি দিয়েছেন। তার কিছু বক্তব্য সরকার ও দলকে বিপদে ফেলে দিয়েছে। দল বা সরকার বিব্রত হয় এমন কোনো কিছুই প্রধানমন্ত্রী সহ্য করেন না।’
মুরাদ হাসানের পরিবর্তনটা কী ধরনের জানতে চাইলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমি সবিস্তারে বলতে পারবো না। এটা অনুভবের বিষয়। আমি এটা এখানে প্রকাশ করতে পারবো না।’
প্রতিমন্ত্রী পদ থেকে পদত্যাগের পর মুরাদ হাসানকে দল থেকেও বাদ দেওয়া হবে কি না-এমন প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘মুরাদ হাসান জামালপুরের জেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যাবিষয়ক সম্পাদক। এ বিষয়ে জেলা আওয়ামী লীগ সিদ্ধান্ত নেবে।’
মুরাদ হাসানের সংসদ সদস্যপদ বাতিল হবে কি না-এই প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সংসদ সদস্য জনগণের নির্বাচিত। তাই চাইলেই বাদ দেওয়া যায় না।’
সম্প্রতি চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহির সঙ্গে অশ্লীল ফোনালাপ ফাঁস হওয়ার পর দেশজুড়ে সমালোচনার মুখে পড়েন তথ্য প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসান। এরই পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল সোমবার তাকে মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগের নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশের পর আজ মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে তিনি ই-মেইলে ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে সচিবালয়ে পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন।
স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব থেকে সরিয়ে ২০১৯ সালের মে মাসে মুরাদ হাসানকে তথ্য প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল।
আরও পড়ুন:
অবশেষে ক্ষমা চাইলেন মুরাদ হাসান
সচিবালয়ে পদত্যাগপত্র পাঠালেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী মুরাদ