নিজস্ব ক্রীড়া প্রতিবেদক প্রকাশের সময় :২০ নভেম্বর, ২০২১ ৫:২৯ : অপরাহ্ণ
প্রথম ম্যাচের ধারা দ্বিতীয় ম্যাচেও ধরে রেখেছে বাংলাদেশ। ব্যাটিং বিপর্যয় ও অল্প রানে আটকে যাওয়ার চেনা দৃশ্য দেখিয়েছে রাসেল ডমিঙ্গোর শিষ্যরা।
অল্প রানে প্রথম ম্যাচে কষ্টে জিতলেও দ্বিতীয় ম্যাচে টাইগারদের পাত্তা দিলো না পাকিস্তান। তুলে নিলো ৮ উইকেটের বিশাল জয়।
এক ম্যাচ হাতে রেখে নিশ্চিত করলো টি-টোয়েন্টি সিরিজ।
আজ শনিবার রাজধানীর মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশ প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ওভার শেষে ৭ উইকেট খুইয়ে ১০৮ রান তুলে।
জবাবে ২ উইকেট হারিয়ে ১১ বল হাতে রেখেই ম্যাচ ও সিরিজ নিশ্চিত করে পাকিস্তান।
১০৯ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতে ধাক্কা খেয়েছিল সফরকারীরা। এই ম্যাচেও টিকতে পারেননি পাকিস্তানের অধিনায়ক বাবর আজম।
দলীয় ১২ রানে অধিনায়ক বাবর আজমকে হারায় পাকিস্তান।
মুস্তাফিজের অফ সাইডের বাইরের বলে মারতে গিয়ে ব্যাটের ভেতরের দিকে লেগে বোল্ড হয়ে ফেরেন তিনি।
দ্বিতীয় উইকেটে মোহাম্মদ রিজওয়ান ও ফাখর জামান ৮৫ রানের জুটি গড়েন।
জয়ের থেকে ১২ রান দূরে থাকতে লেগ স্পিনার আমিনুল ইসলামের বলে সাইফ হাসানের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন রিজওয়ান। তার আগে তিনি ৪৫ বলে ৩৯ রানের ইনিংস খেলেন।
তৃতীয় উইকেটে ফাখর জামান হায়দার আলীকে নিয়ে পাকিস্তানকে জয় উপহার দিয়ে মাঠ ছাড়েন।
তার আগে ফাখর ৫১ বলে ৩ ছয় ও ২ চারের সাহায্যে ৫৭ রান করেন।
অপরাজিত অর্ধশত রানের কল্যাণে ম্যাচ সেরার পুরস্কার পান ফাখর জামান।
বাংলাদেশের হয়ে আমিনুল ও মুস্তাফিজ একটি করে উইকেট লাভ করেন।
বাংলাদেশের ইনিংসের শুরুটা হয়েছিল হতাশা দিয়ে। সিরিজ বাঁচানোর ম্যাচেও টস জিতে ব্যাট নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ। একাদশ ছিলো অপরিবর্তিত।
এই ম্যাচেও দুই ওপেনার মোহাম্মদ নাঈম ও সাইফ হাসান ব্যর্থ হন।
গতকাল অভিষেকে ব্যর্থ হওয়া সাইফকে আজও সুযোগ দিয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু সেই সুযোগ কাজে লাগাতে পারলেন না তিনি।
প্রথম ওভারেই শাহীন শাহ আফ্রিদির বলে এলবিডব্লিউ হয়ে সাজঘরে ফিরেন সাইফ ।
উইকেটে ধুঁকতে থাকা নাঈমও পারলেন না থিতু হতে। পরের ওভারেই তাকে ফাঁদে ফেলেন মোহাম্মদ ওয়াসিম। ৮ বলে ২ রানে ফেরেন নাঈম।
দ্রুত ওপেনারদের হারিয়ে চাপে পড়ে যায় বাংলাদেশ। সেখান থেকে দলকে উদ্ধার করার চেষ্টা করেন আফিফ হোসেন ও নাজমুল হোসেন শান্ত।
তাদের ৪৬ রানের জুটি ভাঙেন স্পিনার শাদাব খান। নবম ওভারে শাদাব খানের বলে আউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন আফিফ। ২১ বলে ২০ রান করেন বাংলাদেশি এই ব্যাটসম্যান।
তিন উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে বাংলাদেশ।
আফিফ ফিরলে মাহমুদউল্লাহকে নিয়ে প্রতিরোধ গড়েন শান্ত। সেই জুটি বেশি লম্বা হয়নি।
প্রয়োজনের সময় আবারও ব্যর্থ অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহর (১২) ব্যাট। ১৫ বলে ১২ রান করেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।
মাহমুদউল্লাহ ফেরার পরপরই উইকেট উপহার দিয়ে ফেরেন শান্ত। শাদাব খানের বলে ক্যাচ তুলে দেওয়া শান্ত করেন ৪০ রান। ৩৪ বলে তাঁর ইনিংসে আছে পাঁচটি বাউন্ডারি।
আফিফ-শান্ত ফেরার পর রানের গতি কমে যায় বাংলাদেশের। শেষ দিকে নুরুল-আমিনুলদের ব্যাটে চড়ে নির্ধারিত ওভারে ১০৮ রান করে বাংলাদেশ।
পাকিস্তানের পেসাররা এই ম্যাচে দুর্দান্ত বোলিং করেছেন। শাহিন আফ্রিদি ৪ ওভারে ১৫ রান দিয়ে নিয়েছেন ২ উইকেট। ওয়াসিম জুনিয়র ৩ ওভারে মাত্র ৯ রান খরচ করে ১ উইকেট নেন। হ্যারিস রউফ ৩ ওভারে ১৩ রানে নেন ১ উইকেট। শাদাব খান-এর ৪ ওভারে ২২ রান নিয়ে ২ উইকেট দেয় বাংলাদেশ।
প্রথম দুই ম্যাচ জিতে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল পাকিস্তান। সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে আগামী সোমবার ফের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ ও পাকিস্তান।
আরও পড়ুন: দেশে করোনায় মৃত্যুশূন্য দিন